যশোরে অ্যালকোহল পানে ৬ জনের মৃত্যু
যশোরের ঝিকরগাছায় অ্যালকোহল পানে গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, নিহত ব্যক্তিরা অধিকাংশই মাদকসেবী। বিষাক্ত অ্যালকোহল গ্রহণের ফলে অধিকাংশ মৃত্যু হয়েছে। উপজেলা হাসপাতালে এখন অ্যালকোহলজনিত পয়জনিংয়ের শিকার হয়ে তিনজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মৃত ব্যক্তিরা হলেন, উপজেলার রাজাপুর গ্রামের আবুল গাজীর ছেলে হাবিল গাজী (৬০), বর্নি গ্রামের সুরত আলীর ছেলে ফারুক হোসেন (৪০), হাজিরালী গ্রামের মৃত গহর আলীর ছেলে আসমত আলী (৫০), পুরন্দরপুর গ্রামের মৃত ফকির ধোপার ছেলে হামিদুর রহমান (৫৫), রাজাপুর গ্রামের আলফাজের ছেলে নুর ইসলাম খোকা (৫৫) এবং ঋষিপাড়ার মৃত রসিকলালের ছেলে নারায়ণ (৫৫)।
গুরুতর অসুস্থ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানিয়েছেন, সোমবার সকালে পুরন্দরপুর গ্রামের জলিল সর্দারের ছেলে মিন্টুর কাছ থেকে মদ কিনে খোকা, নারায়ণ ও হামিদুরের সঙ্গে তিনিও পান করেছিলেন। কিন্তু তিনি পরিমাণে কম পান করেন। তিনি চলে আসার পরও খোকা, নারায়ণ ও হামিদুর মদের আস্তানায় ছিলেন। বাড়িতে ফেরার পর তিনিসহ ওই তিনজন অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের যশোরের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খোকা, হামিদুর ও নারায়ণ ওই দিনই মারা যান। সোমবার গভীর রাতে খোকা, হামিদুরকে দাফন ও নারায়ণকে সৎকার করা হয়।
এর একদিন পর মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর হাবিল গাজী, ফারুক হোসেন ও আসমত আলী মারা যান। মৃত ব্যক্তিদের সবাইকে হাসপাতাল থেকে ‘হৃদরোগে মৃত্যু হয়েছে’ বলে ছাড়পত্র দেওয়া হয় বলে দাবি করছেন মদের আখড়ায় গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়া ওই ব্যক্তি।
তবে যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যোগাযোগ করে ঝিকরগাছার পুরন্দরপুর এলাকার নাফিজ নামে ৬০ বছর বয়সী এক ব্যক্তির ভর্তির রেকর্ড পাওয়া যায়। তিনি পয়জনিংয়ের শিকার হয়েছিলেন বলে হাসপাতাল রেজিস্টারে উল্লেখ আছে।
ঝিকরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “খবর পেয়ে মৃতদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, তারা সবাই হৃদরোগে মারা গেছেন। হাসপাতাল থেকেও সেই ছাড়পত্র প্রদান করা হয়েছে। তাই বিষয়টি নিয়ে আমার কিছু বলার নেই।”
ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত ডাক্তার জিয়াউল ইসলাম জামান, নিহত ব্যক্তিদের কেউই হাসপাতালে মারা যায়নি। তবে বিষাক্ত অ্যালকোহল পানে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়া তিনজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাদের অবস্থা গুরুতর।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এফএ