চট্টগ্রামের প্রথম রেড জোন ‘উত্তর কাট্টলি’ লকডাউন
চট্টগ্রামের প্রথম রেড জোন হিসেবে বন্দর নগরীর ১০ নম্বর উত্তর কাট্টলি ওয়ার্ডে লকডাউন শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ জুন) রাত ১২টার পর থেকে লকডাউন কার্যকর হলো।
এদিকে, লকডাউন শুরুর আগে রাত ১১টায় সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ড এলাকা পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি ওয়ার্ড কার্যালয়ের কন্ট্রোল রুমে লকডাউন কর্মসূচির সার্বিক বিষয় নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করেন।
লকডাউন চলাকালীন রেড জোন ঘোষিত এলাকায় প্রবেশ ও বাইরে বের হওয়া সম্পূর্ণ নিষেধ। এ লক্ষ্যে ওই এলাকার ২০টি প্রবেশপথ চিহ্নিত করে তা বন্ধ করে দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
প্রবেশপথগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- কর্নেল টোল রোড, ঈশান মহাজন রোড, মোস্তফা হাকিম কলেজ রোড, সাগরিকা বিটেক রোড, কৈবল্যধাম রোড, নিউ মনছুরাবাদ রোড, সিডিএ আবাসিক রোড, সাগরিকা আলিফ রোড।
এছাড়া প্রধান সড়কে দূর পাল্লার গাড়িতে কোনো প্রকার যাত্রী ওঠা-নামা করতে পারবে না। তবে রাত ১২ টার পর পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল উন্মুক্ত থাকবে। প্রাথমিকভাবে ২১ দিনের জন্য এই লকডাউন কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে সিটি করপোরেশন। আর এই এলাকায় সেনা টহল থাকবে বলে জানিয়েছে আইএসপিআর। তবে এ সময়ে স্বাস্থ্যকর্মীসহ জরুরি সেবায় যারা নিয়োজিত তাদের বের হতে দেয়া হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সেরে নিচ্ছে সিটি করপোরেশন ও প্রশাসন।
একইসঙ্গে সাধারণ মানুষকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। এলাকার মানুষের সার্বিক সহায়তার জন্য মহল্লা ভিত্তিক সেচ্ছাসেবক টিমও কাজ করবে।
কন্ট্রোল রুমের নম্বরগুলো হলো- ০৩১-৪৩১৫১৩৬৮, ০৩১-৪৩১৫১৩৬৯, ০৩১-৪৩১৫১৩৭০, ০৩১-৪৩১৫১৩৭১, ০৩১-৪৩১৫১৩৭২, ০১৮১৯-০৫৬৮৪৪ এবং ০১৮১১-৮৮৭০৮৪।
লকডাউন কার্যকর থাকাকালীন স্থানীয় বাসিন্দারা যেকোনো সমস্যা এসব নম্বরে ফোন করে জানাতে পারবেন।
সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদফতর ও চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য বিভাগ যৌথভাবে চট্টগ্রাম নগরের ১১টি জোনকে ‘রেড জোন’ হিসেবে শনাক্ত করেছে। লকডাউন বাস্তবায়ন করবে সিটি করপোরেশন। তাই সিটি করপোরেশনের নিজেদের সুবিধার জন্য এটিকে ১০ ওয়ার্ডে ভাগ করে নিয়েছে। মূলত প্রতি ১ লাখ জনসংখ্যায় বিগত ১৪ দিনে ৭ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে- এমন এলাকাগুলোকেই রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। জেলার প্রথম রেড জোন উত্তর কাট্টলি লকডাউন হলো আজ মধ্যরাত থেকে।’
সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, ‘আজ মধ্যরাত থেকে এই এলাকা পুরোপুরি লকডাউন থাকবে। যানবাহন চলবে না। বাসিন্দারা ঘরে থাকবেন। তাদের প্রয়োজন মেটাতে পাশে থাকবে সিটি করপোরেশন।’
মেয়র বলেন, ‘আগামী ২১ দিন পর্যন্ত লকডাউন চলাকালীন এলাকার মানুষের সার্বিক সহায়তার জন্য থাকবে সিটি করপোরেশনের একাধিক কন্ট্রোলরুম ও এলাকাভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবক টীম। বিশেষ কোনো প্রয়োজনে কন্ট্রোল রুমের নির্দিষ্ট নম্বরে যোগাযোগ করে মিলবে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা। সেচ্ছাসেবক দ্বারা প্রতিটি ঘরে জিনিসপত্র পৌঁছে দেয়া হবে। চসিকের পক্ষ থেকে চলবে দিনভর প্রচারাভিযান ও লিফলেট বিতরণ।’
নিউজবাংলাদেশ.কম/ডি