টাঙ্গাইলে সালিশি বৈঠকে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত ১, আহত ২
টাঙ্গাইলের বাসাইলে সালিশ বৈঠকে প্রতিপক্ষের হামলায় একজন নিহত হয়েছে, গুরুতর আহত হয়েছে তার দুই ভাই। গত রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার হাবলা ইউনিয়নের সোনালিয়া মিয়াবাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম আব্দুল মিয়া (৩৭)। তিনি সোনালিয়া মিয়াবাড়ী এলাকার খোরশেদ মিয়ার ছেলে। এই ঘটনায় গুরুতর আহত তার দুই ভাইকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, আব্দুল মিয়া জমি বিক্রির করবে বলে এনামুল হক লিটন নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে প্রায় ৫ লাখ টাকা নেন। কিন্তু টাকা নেয়ার পর তিনি লিটনকে জমি না দিয়ে টাকা ফেরত দিতে চাচ্ছিলেন। এই নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। রোববার বিকেলে এই নিয়ে ওই এলাকায় শালিসের আয়োজন করা হয়। সালিশে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান নাদু, ইউপি সদস্য পলাশ, যুগলুর রাশেদ মাতাব্বর, আওয়ামী লীগ নেতা পানসু মিয়াসহ অন্যান্য মাতাব্বর উপস্থিত ছিলেন।
সালিশে মাতাব্বররা আব্দুল মিয়াকে এনামুল হক লিটনের পাওনাকৃত ৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা ফেরত দিয়ে ক্ষমা চাওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত দেয়। কিন্তু সালিশের এই বিচার না মেনে লিটন ও তার সঙ্গীরা আব্দুল মিয়া ও তার দুই ভাইকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারিভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুলকে মৃত ঘোষণা করেন।
এই ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য পলাশ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘শালিসে আব্দুল মিয়াকে এনামুল হক লিটনের পাওনাকৃত ৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা ফেরত দিয়ে ক্ষমা চাওয়ার সিদ্ধান্ত দেয়া হয়। কিন্তু এনামুল হক লিটনসহ তার পক্ষের লোকজন সেটি না মেনে আব্দুল মিয়াকে সালিশ থেকে কিছু দূরে নিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে। এসময় আমরা তাদের ফেরানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি।’
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের পুলিশ বক্সের উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. নবিন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘নিহতের লাশ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। বাকি আহত দুইজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।’
বাসাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম তুহীন আলী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ঘটনাটি শুনে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিস্তারিত জানার পর এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ’
নিউজবাংলাদেশ.কম/কেএইচ