‘হসপিটালগুলো দিয়ে কী হবে’
সিলেটে বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে চার হাসপাতালে ঘুরেও ভর্তি হতে না পেরে নির্মম পরিণতি মেনে নিতে হলো এক আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রীকে। ওই নারী সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার কুচাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আখতার হোসনের স্ত্রী। অথচ তিনি করোনা আক্রান্ত ছিলেন না।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতা আখতার হোসেন বলেন, “আমরা বড় অসহায়। জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আমরা যদি স্বাস্থ্যসেবা না পাই, তবে এই শহরে এত উন্নত হসপিটালগুলো দিয়ে কী হবে?”
তিনি এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানান।
গত শুক্রবার দুপুরে কুচাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আখতার হোসনের স্ত্রী মারা যান।
এর আগে বৃহস্পতিবার বুকে প্রচণ্ড ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তাকে দক্ষিণ সুরমার নর্থ-ইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভর্তি করতে রাজি না হয়ে দুটি টেস্ট দিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দেন। শুক্রবার ভোরেই রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। তখন নর্থ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে রোগীকে ‘সিট নেই’ অজুহাতে ভর্তি করা হয়নি।
এর পর সিলেট নগরীর পার্ক ভিউ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতাল ও ইবসে সিনা হাসপাতালে চেষ্টা করে স্ত্রীকে ভর্তি করাতে পারেননি আখতার হোসেন। তাদের সবার বক্তব্য ছিল– ‘যেসব টেস্ট দেয়া হয়েছে, সেগুলোর রিপোর্ট নিয়ে আসুন। তার পর দেখব ভর্তি করা যায় কিনা।’
পরে আখতার হোসেন বাধ্য হয়ে প্রতিবেশী এক নার্সের সহযোগিতায় প্রায় ২০ হাজার টাকা দিয়ে একটি অক্সিজেন বটল কিনে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে স্ত্রীকে দিতে শুরু করেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা না পেয়ে শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি মারা যান।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এফএ