নারায়ণগঞ্জে করোনার সঙ্গে ডেঙ্গু আতঙ্ক
নারায়ণগঞ্জে করোনার পাশাপাশি এখন দেখা দিয়েছে ডেঙ্গু আতঙ্ক। জেলায় দীর্ঘদিন ধরে মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পেলেও সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের কোনো তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না।
মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বর মোকাবিলায় কার্যকরী ভূমিকা রাখতে সিটি করপোরেশনের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন নগরবাসী। তারা মনে করেন, মশা নিধনে নাসিক কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন এলাকায় কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করলে এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাবেন তারা।
সূত্র জানায়, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) এলাকায় ব্যাপকভাবে বেড়েছে মশার উপদ্রব। ঘরে-বাইরে কিংবা কর্মস্থলে কোথাও রেহাই পাওয়া যাচ্ছে না মশার কামড় থেকে।
নগরবাসী জানান, নাসিকের ১৬নং ওয়ার্ডে বসবাস করেন অনেক প্রভাবশালী। তার পরেও এ ওয়ার্ডে মশার উপদ্রব অনেক বেশি। মানুষের ঘরে বসবাস করা দুরূহ হয়ে পড়েছে। বর্তমানে করোনা নিয়ে সারাদেশ বিপাকে। করোনার কারণে অনেকে ঠিকমতো চিকিৎসা পাচ্ছেন না। আর এর ওপর এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুর উপদ্রব বাড়লে তা ঠেকানো কঠিন হয়ে পড়বে। এ জন্য নগরবাসীর দাবি, দ্রুত মশা নিধন করে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব থেকে তাদের রক্ষা করা হোক।
শহরের দেওভোগ এলাকায় বসবাসরত লিয়াকত হোসেন নামক এক ব্যক্তি বলেন, “মশার যন্ত্রণায় একেবারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। দিনে কিংবা রাতে মশার জন্য কোথাও বসতে কিংবা শুতে পারছি না। ঘরে-বাইরে মশার ব্যাপক বিস্তার ঘটেছে।”
দ্রুত মশার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
নাসিকের ১৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ বলেন, “বর্তমানে আমরা করোনা নিয়ে ভীষণ চিন্তিত। তারপরেও মশা নিধনে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ইতিমধ্যে ওষুধ দেওয়া শুরু হয়েছে, সেগুলো ছিটানো হবে। আমাদের কাজের পাশাপাশি আমরা নগরবাসীকে আহ্বান করি, যেন তারা সচেতনভাবে বাড়িঘর, ছাদ ও আঙ্গিনা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখে।”
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী (সিইও) মো. আবুল আমিন বলেন, “বর্তমানে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে ব্যস্ত রয়েছি। তারপরও নগরবাসীর বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে একটি হচ্ছে মশা। ডেঙ্গু মোকাবিলায় মশা নিয়ন্ত্রণে বিশাল বাজেটের একটি অংশ রেখেছি। ইতিমধ্যে প্রতিটি ওয়ার্ডে ৫ জন করে কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। লার্ভা ধ্বংস করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আশা করছি খুব দ্রুত মশার উপদ্রব নিয়ন্ত্রণে আনতে পারব।”
নিউজবাংলাদেশ.কম/এফএ