News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১০:৫০, ২৭ মে ২০২০
আপডেট: ১৩:২৬, ২৭ মে ২০২০

৪৮ ঘণ্টায় বিষাক্ত মদপানে ১৩ জনের মৃত্যু

৪৮ ঘণ্টায় বিষাক্ত মদপানে ১৩ জনের মৃত্যু

রংপুরের পীরগঞ্জ ও দিনাজপুরে বিরামপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিষাক্ত মদ ও স্পিরিটপানে বুধবার সকাল আটটা পর্যন্ত বিগত ৪৮ ঘণ্টায় ১৩ জন মারা গেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা গণমাধ্যমকে জানান, গত সোমবার, মঙ্গলবার এবং বুধবার রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার শানেরহাট বাজার এবং দিনাজপুরে বিরামপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিষাক্ত মদ এবং রেকটিফাইড স্পিরিট পান করার ফলে তাদের মৃত্যু হয়।

রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় মুত্যুবরণ করা সাত ব্যক্তি একই উপজেলার শানেররহাট ইউনিয়নের শানেরহাট বাজার এলাকায় প্রায়ই মদপান করে আসছিলেন।

শানেরহাট বাজারে বিষাক্ত মদ গ্রহণকারী নিহতদের আরও দশজন সহচর গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় গোপনে নিজেদের বাসা বা অন্যান্য জায়গায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।

নিহত এই সাতজন হলেন- রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক (৪৫), জাহিদুল হক (৩৫), সেলিম মিয়া (৫০), দুলা মিয়া (৫৫), সিরাজুল ইসলাম (৩৫) এবং নওশাদ মিয়া (৫৫) এবং মিঠাপুকুর উপজেলার চন্দন কুমার (৩০)।

গতকাল মঙ্গলবার ও বুধবার বিষাক্ত মদ এবং রেকটিফাইড স্পিরিট পান করার ফলে রংপুরের রংপুর সদর উপজেলার সদর কোতয়ালী থানাধীন চন্দনপাট ইউনিয়নের শ্যামপুর ও পার্শবর্তী এলাকার নুর ইসলাম (৩০), সরোয়ার হোসেন (৩১) ও মোস্তফা কামাল (৩০) মারা গেছেন।

অপরদিকে, দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার মামুদপুর গ্রামের আব্দুল মতিন (২৭), আজিজুল ইসলাম (৩৩,) এবং আবদুস সাত্তার (৩৭) মঙ্গলবার রাতে বিষাক্ত মদ বা রেকটিফাইড স্পিরিট পান করে মারা যান।

পীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সারেশ চন্দ্র ও রংপুর সদর কোতোয়ালি থানার ওসি এ বি এম সাজেদুল ইসলাম এবং দিনাজপুরের বিরামপুর থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান গণমাধ্যমকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

পীরগঞ্জ উপজেলার শানেররহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মন্টু এবং রংপুরের সদর উপজেলার চন্দনপাট ইউনিয়নের আমেনুর রহমানও নিজ নিজ ইউনিয়নে যথাক্রমে সাত ও তিনজন নিহত হওয়ার ঘটনা গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

তারা অভিযোগ করেন, এসব এলাকায় সমাজের কিছু পদচ্যুত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া সত্ত্বেও শানেরহাট বাজার ও শ্যামপুর এলাকায় দীর্ঘ সময় ধরে প্রায়ই মদ ও অন্যান্য মাদক সেবন করে থাকেন।

রংপুরের পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার গণমাধ্যমকে জানান, বেআইনিভাবে বিষাক্ত মদ ও রেকটিফাইড স্পিরিট ব্যবসায়ের সাথে জড়িত এবং দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এসবের উৎ্সস্থল খুঁজে পেতে ঘটনার জোরদার তদন্ত চলছে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/কেএইচ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়