News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৩:২০, ২৬ মে ২০২০
আপডেট: ০৬:৩১, ২৬ মে ২০২০

গণস্বাস্থ্যের কিটের ট্রায়াল স্থগিত

গণস্বাস্থ্যের কিটের ট্রায়াল স্থগিত

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত কিট দিয়ে করোনাভাইরাস শনাক্ত এবং এ কিট সরবরাহ ও বাজারজাত করা থেকে বিরত থাকতে চিঠি দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর। তাদের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে কিটটি অভ্যন্তরীণ গবেষণার কাজে ব্যবহারের কথা থাকলেও তা আপাতত স্থগিত ঘোষণা করেছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।

গত সোমবার ঔষধ প্রশাসন চিঠি দিলে ওই দিনই কিটের ট্রায়ালের কার্যক্রম স্থগিত করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।

বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি) অনুমোদন দেয়ায়  মঙ্গলবার থেকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অভ্যন্তরীণ গবেষণা কাজের (ইন্টারনাল ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল) অংশ হিসেবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত করোনার লক্ষণ আছে এমন ৫০ জন রোগীর নমুনা সংগ্রহ করার কথা ছিল। ঔষধ প্রশাসনের চিঠিতে এ কাজও বন্ধ হয়ে গেল।

তবে ‘জরুরি ব্যবহার অনুমোদন’র (EUA) আওতায় ‘ইন ভিট্রো ডায়াগনস্টিক কিট’ হিসাবে অস্থায়ীভাবে অনুমোদনের আবেদন করেছে গণস্বাস্থ কেন্দ্র।

এ বিষয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ‘ইন্টারনাল ভ্যালিডেশনের (Internal Validation) উদ্দেশ্যে ২৬ মে আমরা ৫০টি ‘জিআর কোভিড-১৯ র‌্যাপিড ডট ব্লট কিট’ পরীক্ষা করার প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের তরফ থেকে ২৫ মে চিঠি দিয়ে এ কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য বলা হয়েছে। ঔষ প্রশাসন মারফত অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ইন্টারনাল ভ্যালিডেশন স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। দেশের বর্তমান জরুরি অবস্থা বিবেচনায় বিভিন্ন ওষুধ যেমন, রেমডেসিভিরের মতো ‘জরুরি ব্যবহার অনুমোদন’র আওতায় ‘ইন ভিট্রো ডায়াগনস্টিক কিট’ হিসাবে আমাদের অস্থায়ীভাবে অনুমোদনের আবেদন করছি। এতে করে আমরা বিবিধ প্রস্তুতি প্রক্রিয়া বিশ্বব্যাপী এই লকডাউন অবস্থায় এগিয়ে রাখতে পারি, যেন অনুমোদন পেলে অবিলম্বে কিট প্রস্তুত শুরু করতে পারি।’

গতকাল ২৫ মে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালকের পক্ষে সহকারী পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম সই করা নথিতে বলা হয়, ‘২৪ মে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ পরিবেশিত হয় যে, আগামী ২৬ মে থেকে মেসার্স গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড তাদের উৎপাদিত জিআর কোভিড-১৯ র‌্যাপিড ডট ব্লট কিট ব্যবহার করে ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল ও সাভারের গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে করোনা ভাইরাস শনাক্তকরণ পরীক্ষা শুরু করতে যাচ্ছে।’

‘বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) তাদের কিটের পারফরম্যান্স স্টাডি চলমান রয়েছে। এখন পর্যন্ত গণস্বাস্থ্য উৎপাদিত কিটের পারফরম্যান্স স্টাডির প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি। এই প্রতিবেদন পাওয়ার পরেই কিটের রেজিস্ট্রেশনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এই পরিপ্রেক্ষিতে এখন পর্যন্ত অনুনোমোদিত, কার্যকারিতা পরীক্ষাধীন থাকায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিট করোনা শনাক্তকরণে ব্যবহার, সরবরাহ ও বাজারজাতকরণ থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করা হলো।’

নিউজবাংলাদেশ.কম/কেএইচ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়