News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১১:১০, ২০ মে ২০২০
আপডেট: ০৪:২৭, ২৩ মে ২০২০

২৪ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

২৪ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

বাংলাদেশের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসা সুপার সাইক্লোন ঘুর্ণিঝড় ‘আম্পানএর কারণে উপকূলীয় অঞ্চলের প্রায় ২৪ লাখ মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবেলায় সরকারের সর্বশেষ প্রস্তুতি নিয়ে বুধবার বিকেলে সচিবালয় থেকে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।

তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান বাংলাদেশ-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের দিকে এগিয়ে আসতে থাকায় এ পর্যন্ত ২৩ লাখ ৯০ হাজার ৩০৭ জন মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে। এছাড়া ৫ লাখ ১৭ হাজার ৪৩২টি গবাদিপশুকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসা হয়েছে।

ত্রাণপ্রতিমন্ত্রী বলেন, এই ঘূর্ণিঝড়ে যাতে একটি মানুষকেও যেন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে ছেড়ে না আসা হয়- আমরা সেই নির্দেশ দিয়েছি। লোকসংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় আশ্রয় কেন্দ্রের সংখ্যা ১২ হাজার ৭৮টি থেকে বাড়িয়ে ১৪ হাজার ৩৩৬টি করা হয়েছে। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে ২৩ লাখ ৯০ হাজার ৩০৭ জনকে নেওয়া হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার প্রয়োজন না হলে ১৪ হাজার ৩৩৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৫৭ লাখ ১৩ হাজার ৬০৭ জন মানুষকে রাখা সম্ভব হতো। দূরত্ব নিশ্চিত করতে অর্ধেক লোক রাখা হয়েছে।

ওষুধসহ মেডিকেল টিম প্রস্তুত রয়েছে জানিয়ে এনামুর রহমান বলেন, যারা আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছেন তাদের মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার সরবরাহ করা হয়েছে।

ভাষাণচরের ১২০টি শেল্টারের মধ্যে একটিতে কিছু মানুষকে রাখা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের তদারকিতে নৌবাহিনী রয়েছে, তাদের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ের কারণে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরেও ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এএস

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়