News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৭:২৩, ২০ মে ২০২০
আপডেট: ০৪:২৭, ২৩ মে ২০২০

রামগতির ২০ হাজার মানুষ চরম ঝুঁকিতে, নিরাপদ আশ্রয়ের অভাব

রামগতির ২০ হাজার মানুষ চরম ঝুঁকিতে, নিরাপদ আশ্রয়ের অভাব

ফাইল ফটো

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’। লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার দুর্গম ও বিছিন্ন পাঁচটি চরে নিরাপদ কোনো আশ্রয়স্থান নেই। এ অবস্থায় চরগজারিয়া, তেলিরচর, আবদুল্যাহরচর, ঘাসিয়ারচর ও চর মুজামে বসবাসকারী নারী ও শিশুসহ প্রায় ২০ হাজার মানুষ চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। নিরাপদ আশ্রয়ে আনার জন্য দুই দিন ধরে চেষ্টা চালাচ্ছেন প্রশাসন। বুধবার সকাল পর্যন্ত পাঁচটি ট্রলারে পাঁচ শতাধিক লোক নিরাপদ আশ্রয়ে এসেছেন। অন্যরা ঘরবাড়ি ও গবাদি পশু ছেড়ে আসতে চাইছেন না। অথচ ৫-৬টি মাটির কিল্লা ছাড়া ওই চরগুলোতে কোনো আশ্রয়কেন্দ্র নেই, নেই কোনো বেড়িবাঁধ।
চরগজারিয়া-তেলিরচরে দায়িত্বপ্রাপ্ত ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি-সিপিপি’র চর আবদুল্লাহ ইউনিয়নের টিম লিডার জয়নাল আবদীন বুধবার সকালে মোবাইল ফোনে জানান, ওই চরগুলোতে সিপিপি’র ১৫টি ইউনিটে ২১০ জন স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন। তারা মেগাফোন বাজিয়ে এলাকায় সতর্ক সংকেত প্রচার করছেন। তবে চরে নিরাপদ আশ্রয়ের তেমন কোনো ব্যবস্থা না থাকায় লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
তিনি বলেন, “চরে ৩০টি পরিবার বসবাসের যোগ্য আধাপাকা একটি গুচ্ছগ্রাম ভবন, টিনশেড তিনটি বিদ্যালয় ভবন ও কয়েকটি মাটির কিল্লা রয়েছে। তাতে মাত্র ২-৩ হাজার মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন।”
স্থানীয় চর আবদুল্লাহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন মঞ্জুর জানান, লোকজনকে উপজেলা সদরে মূল ভূখণ্ডে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়ার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে ট্রলার পাঠানো হলেও ঘরবাড়ি ও গবাদি পশু ছেড়ে কোনোমতেই তারা যেতে চাইছেন না। তবে এসব চরের বেশির ভাগ লোকজনের মূল-ভূখণ্ডে পুরানো বাড়ি-ঘর রয়েছে। তারা আগে থেকেই ওইসব বাড়ি-ঘরে অবস্থান করছেন। এতে করে চর এলাকায় তেমন লোকজন না থাকায় সেখানে এখন নারী ও শিশুসহ প্রায় ৪-৫ হাজার মানুষ চরম ঝুঁকির মধ্যে থাকতে পারেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আব্দুল মোমিন জানান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক বিশেষ সভায় বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে আনার জন্য দুই দিন ধরে পাঁচটি ট্রলার পাঁচ শতাধিক লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া হয়েছে। কোস্টগার্ড, পুলিশ, ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য, গ্রামপুলিশ ও সিপিপি’র স্বেচ্ছাসেবকরা এসব লোকজনকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ট্রলারে আনার ব্যবস্থা করেছেন। অন্যরা কোনোমতেই আসতে চাইছেন না। তাদের চরেই নিরাপদ আশ্রয়স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তবে আগে থেকে চরের বেশির ভাগ লোকজন মূলভূখণ্ডে তাদের পুরানো বাড়িতে রয়েছেন বলে জানা গেছে। এছাড়া যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য সেখানে সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখা হচ্ছে বলে তিনি জানান।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এফএ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়