সারাদেশেই বৃষ্টি ঝরাবে ‘আম্ফান’
অত্যন্ত শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ইতোমধ্যে ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে। আজ বুধবার (২০ মে) এর পরিমাণ আরও বাড়বে। ঢাকাসহ পুরো দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হওয়া বয়ে যাওয়ারও সম্ভাবনা থাকায় উপকূলীয় অঞ্চলের নদীবন্দরকে ৩ নম্বর বিপদ সংকেত এবং দেশের অন্যান্য অঞ্চলের নদীবন্দরকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখানো হয়েছে।
বুধবার (২০ মে) সকালে পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
ভারী বর্ষণের সতর্কবার্তায় বলা হয়, ঘূর্ণীঝড় আম্ফানের কারণে আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও চট্রগ্রাম বিভাগের অনেক স্থানে ভারী (৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতি ভারী (৮৯ মিলিমিটারের বেশি) বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
আর দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরের পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদফতর বলেছে, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী ও নোয়াখালি অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ৩ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।
আম্ফান দেশের ৩৯০ কিলোমিটারের মধ্যে চলে এসেছে। বুধবার (২০ মে) বিকেল/সন্ধ্যার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে। ফলে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এর প্রভাবে দক্ষিণ, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ১০ থেকে ১৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/ডি