News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৭:৩৪, ১৮ মে ২০২০
আপডেট: ০৪:২৪, ২১ মে ২০২০

ডেঙ্গু দমনে ডিএনসিসির অভিযান-জরিমানা

ডেঙ্গু দমনে ডিএনসিসির অভিযান-জরিমানা

ডেঙ্গু দমনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) বিশেষ অভিযানে ১ হাজার ৩৪৯ টি বাড়ি, স্থাপনা, নির্মাণাধীন ভবন ইত্যাদি পরিদর্শন করে বেশি কিছু জায়গায় এডিসের লার্ভা পাওয়া গেছে। এসময় ৭ টি মামলায় এসকল বাড়ি মালিকদের মোট ৭৬ হাজার টাকা জরিমানা করেছে নগর কর্তৃপক্ষ।

সোমবার অভিযানের তৃতীয় দিনে করপোরেশনের পাঁচটি ওয়ার্ডে সকাল থেকে মশক নিধনে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযানে এ জরিমানা আদায় হয়।

অভিযানে অঞ্চল-১ (উত্তরা) এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা জুলকার নায়ন ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়রুল হালিমের নেতৃত্বে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরে মোট ৭৪৯টি বাসাবাড়ি, নির্মাণাধীন ভবন ও প্রতিষ্ঠানে বেলা ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালিত হয়। এসময়ে প্রায় ৫৬৭ টি স্থানে এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এর মধ্যে ২৮ টি স্থানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যাওয়ায় ৪টি মামলায় মোট ৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং এডিস মশার সকল প্রজননস্থলসমূহে কীটনাশক স্প্রে করা হয়।

অঞ্চল-২ (মিরপুর-২) এর ৬ নং ওয়ার্ডের মিরপুর সেকশন-৭ এলাকার ৮৩৫টি বাড়ি ও স্থাপনায় বেলা ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চিরুনি অভিযান চালিয়ে ২টি বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এর মধ্যে একজনকে ৫ হাজার জরিমানা করা হয়, অন্যজনকে সতর্ক করা হয়। এছাড়া কয়েকটি বাড়িতে জমে থাকা পানি পাওয়ায় তাদেরকে সতর্ক করে দেয়া হয়।

অঞ্চল-৩ (মহাখালী) এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মীর নাহিদ আহসান এর নেতৃত্বে ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বারিধারা এলাকায় ১৫৩টি বাড়ি, স্থাপনা ও নির্মাণাধীন ভবনে বেলা ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চিরুনি অভিযান পরিচালিত হয়। এসময়ে ১৮টি প্রতিষ্ঠানকে এডিস মশার বংশবিস্তার রোধে সতর্ক করা হয়েছে এবং এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যাওয়ায় ২টি নির্মাণাধীন ভবনের মালিককে ২টি মামলায় মোট ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

অঞ্চল-৪ (মিরপুর-১০) এর ১২ নম্বর ওয়ার্ডের পাইকপাড়া ও আহমেদ নগর এলাকায় ২১০টি নির্মাণাধীন ভবন ও স্থাপনায় চিরুনি অভিযান চালানো হয় । এসময় কয়েকটি বাড়িতে এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া গেলে তাদেরকে সতর্ক করে সেসব স্থানে কীটনাশক স্প্রে করা হয়। কোন জরিমানা করা হয়নি।

অঞ্চল-৫ (কারওয়ান বাজার) এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ হোসেনের নেতৃত্বে চিরুনি অভিযান পরিচালিত হয় মোহাম্মদপুরের ৩২ নং ওয়ার্ডের বাবর রোড থেকে হুমায়ুন রোড পর্যন্ত। এসময়ে ৭টি নির্মাণাধীন ভবনসহ মোট ২৩৭ টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে এডিস মশার প্রজননস্থলসমূহ ধ্বংসপূর্বক কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়েছে। অর্ধ পরিত্যক্ত একটি ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যাওয়ায় ভবন মালিককে ১টি মামলায় ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ১৬ মে থেকে চলমান চিরুনি অভিযান এবং গত ১০ মে থেকে শুরু হওয়া মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে সোমবার পর্যন্ত মোট ২ লাখ ৩৮ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে ডিএনসিসির চিরুনি অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও করপোরেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এএস

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়