আম্পান মোকাবেলায় ঢাকা নদী বন্দরের প্রস্তুতি সম্পন্ন
বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসা প্রবল ঘূর্নিঝড় ‘আম্পান’ মোকাবেলায় দেশের সকল নদী বন্দরে কর্মরত সকলকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। নির্দেশনা অনুযায়ী এরইমধ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে ঢাকা নদী বন্দর।
বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক (ঢাকা নদী বন্দর) এ কে এম আরিফ উদ্দিন নিউজ বাংলাদেশকে জানান, সংস্থাটির নির্দেশনা অনুযায়ী ঢাকা নদী বন্দরের সকল কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠকের মাধ্যমে এরইমধ্যে প্রবল ঘূর্নিঝড় ‘আম্পান’ মোকাবেলার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
আরিফ উদ্দিন বলেন, ‘নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা বন্দরের সকল কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেছি। বৈঠকে নৌ-যান মালিকদের জাহাজে কর্মচারীদের উপস্থিত থাকা, বন্দরের সকল পন্টুনগুলো দেখভালের ব্যবস্থা, নোঙ্গর করে রাখা জাহাজের নিরাপদ দুরত্বে রাখার ব্যবস্থা করা, কার্গো বালুবাহী জাহজাগুলোকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী জাহাজ পরিচারনার জন্য বলা হয়েছে।‘
এরআগে বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক নিয়ম অনুযায়ী নৌ-বন্দরের সকল কর্মকর্তাদের সার্বক্ষনিক বন্দরে থকার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি করোনার কারণে যাত্রীবাহী নৌ-যান চলাচল না করলেও মালবাহী নৌ-যান যাতে সবসময় আবহাওয়া বার্তা শুনে পরিচালিত হয় তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেন। এছাড়াও বিভিন্ন নৌ-বন্দর ও আশপাশে নোঙ্গর করে রাখা নৌ-যানগুলোকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে সংস্থাটির কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান। পাশাপাশি বিআইডব্লিউটিএ’র পক্ষ থেকে কন্ট্রাল রুম খোলা, উদ্ধারকারী জাহাজ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্পান উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে বর্তমানে পশ্চিম মধ্যবঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। আজ বিকাল ৩টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে এবং পরবর্তীতে দিক পরিবর্তন করে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে খুলনা ও চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী অঞ্চল দিয়ে ১৯ মে (মঙ্গলবার) শেষরাত থেকে ২০ মে (বুধবার) বিকাল/সন্ধ্যার মধ্যে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৮৫ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২১০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এএস