বায়ুদূষণ: পরিচিত চেহারায় ফিরছে ঢাকা
নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে মানুষের ঘরমুখী হওয়ার সঙ্গেসঙ্গে প্রকাশিত হতে শুরু করেছিল প্রকৃতির সৌন্দর্য। ঢাকার বাতাসও পেয়েছিল খানিকটা শুদ্ধতা। তবে, বর্ধিত সাধারণ ছুটি চলাকালীন সরকারি বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল করায় রাজধানীতে বাড়তে শুরু করেছে বায়ুদূষণ।
একবিংশ শতকের প্রথম দুই দশকে ঢাকার বাতাসে দূষণ রোজই একটু একটু করে বেড়েছে। কিছুদিন আগেও এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) ঢাকার বায়ুমান ছিল সবচেয়ে শোচনীয়। তবে, করোনা সংক্রমণের মুখে এপ্রিলের শুরু থেকে পাল্টে যায় দৃশ্যপট। দূষণ মাত্রা নেমে যায় ১০০ এর নিচে।
এদিকে, মে মাসের মধ্যভাগে ঢাকার বায়ুমান পৌঁছেছে ১৮৪তে। চলতি সপ্তাহেই হয়তো ২৫০ ছাড়িয়ে যাবে ঢাকার বায়ুমান পরিস্থিতি। বিশ্বে বায়ুদূষণের দিক থেকে শীর্ষ স্থানে রয়েছে ঢাকা (১৮৪ বায়ুমান সূচক)। দ্বিতীয়স্থানে চীনের চ্যাংডু (১৭৬), তৃতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর (১৬৯)।
এছাড়াও যথাক্রমে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা (১৪৮), পাকিস্তানের করাচি (১৪৩) ও ভারতের দিল্লি (১৩৯) পরবর্তী স্থানগুলো দখল করে রেখেছে।
এছাড়াও, ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের রিয়েলটাইম বায়ুমান সূচক অনুসারেও ঢাকার বায়ুমান ১৮৫।
অন্যদিকে, স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) গবেষণা থেকে জানা আয়, মার্চ মাসে ঢাকার বায়ুদূষণ এক দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন ছিল। ওই সময় বায়ুমান সূচকে ১০০ থেকে ১২১ এর মধ্যে ওঠানামা করছিল ঢাকার অবস্থান। বায়ুদূষণে শীর্ষ তিন অবস্থান কাটিয়ে উঠে ঢাকার ১০ থেকে ১৫ নম্বরের দিকে স্থানান্তরিত হয়েছিল।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এফএ