দিনাজপুরে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ
দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন এক তরুণী।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় কোতয়ালী থানায় ওই তরুণী বাদী হয়ে মামলা করেন বলে জানিয়েছেন দিনাজপুর কোতয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বজলুর রশিদ।
এ ধর্ষণে অভিযুক্ত ডা. নরদেব রায় দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক এবং পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার প্রেমবাজার এলাকার মনোরঞ্জন রায়ের ছেলে।
এজাহারকারী ওই তরুণীর বাড়ি দিনাজপুরের বিরল উপজেলার কাশিডাঙ্গা গ্রামে।
পরিদর্শক (তদন্ত) বজলুর রশিদ বলেন, “এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা হয়েছে। বর্তমানে তিনি পলাতক আছেন।”
মেয়েটিকে পরীক্ষার জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
মামলার এজাহারে ওই তরুণী উল্লেখ করেন, দিনাজপুরের হাজি মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করা অবস্থায় দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. নরদেব রায়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তার। দুই বছর ধরে প্রেমের সম্পর্কের মধ্যে ‘বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে’ ওই তরুণীকে হাসপাতালের আবাসিক ভবনে নিয়ে ‘তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে’ একাধিকবার ধর্ষণ করেন ওই চিকিৎসক।
‘বিয়ের কথা বললে কালক্ষেপণ করতে থাকেন’ ওই চিকিৎসক।
ঘটনার বিবরণ দিয়ে এজাহারে ওই তরুণী বলেন, সর্বশেষ গত রোববার ডা. নরদেব রায় মোবাইলফোনে কল করে ওই মেডিকেল কলেজের আবাসিক এলাকার এক ভবনের চতুর্থ তলায় ডেকে নেয় তাকে।
সেখানে তিনি বিয়ের কথা বললে, ‘ডা. নরদেব রায় বিয়ে করতে অনীহা প্রকাশ করে এবং তাকে কিলঘুষি মেরে ভবন থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করেন।’
তরুণীকে ঘর থেকে বের করতে না পেরে ডা. নরদেব রায় ঘরে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যান। উপায় না পেয়ে তরুণী ৯৯৯ নম্বরে কল করে পুলিশের সহযোগিতায় উদ্ধার পান বলে জানিয়েছেন তিনি।
অভিযোগের সত্যতা জানতে ডা. নরদেব রায়কে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় একাধিকবার ফোন করা হলেও তার মোবাইলফোন সংযোগ বন্ধ পাওয়া যায়।
নিউজবাংলাদেশ.কম/ডি