ত্রাণ দুর্নীতি বন্ধে দুদকের জিরো টলারেন্স
ত্রাণ দুর্নীতি বন্ধে দুদক জিরো টলারেন্স কৌশল বাস্তবায়ন করছে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।
মঙ্গলবার দ্বিতীয় বারের মতো দুদকের গোয়েন্দা ইউনিটের সার্বিক অবস্থা অবহিত সময়ে চেয়ারম্যান এ কথা বলেন।
দুদক সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ত্রাণসহ অন্যান্য সরকারি সুবিধা আত্মসাতের অভিযোগে এ পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জেলায় ১৫টি মামলা দায়ের করেছে। বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে আজ দ্বিতীয় বারের মতো দুদকের গোয়েন্দা ইউনিট একটি বিশেষ প্রতিবেদনের মাধ্যমে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদকে এ সংক্রান্ত বিষয়ে প্রাপ্ত অভিযোগের ধরন, মামলা তদন্তের অগ্রগতি, আসামিদের গ্রেফতারসহ সার্বিক অবস্থা অবহিত করে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিগত ১২ এপ্রিল থেকে ১১ মে পর্যন্ত সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির অধীন খাদ্যবান্ধব কার্যক্রমের বিভিন্ন অনয়িম-দুর্নীতির অভিযোগে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্য ও ইউপি সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের মোট ১৫টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রতিটি মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। মামলাগুলোর তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
সার্বিক বিষয়ে দুদকের এসব কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, "দুদক কর্মকর্তারা ঝুঁকি নিয়ে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন, যা প্রশংসার দাবি রাখে।"
আরও বলেন, "ত্রাণ কার্যক্রমের প্রারম্ভেই ত্রাণ আত্মসাতের পরিণতি সম্পর্কে কমিশন থেকে সতর্ক করা হয়েছিল। গণমাধ্যমও কমিশনের বক্তব্য ব্যপকভাবে প্রচার করে। তারপরও কিছু দুর্নীতি-অনিয়ম-স্বজনপ্রীতির ঘটনা ঘটেছে। আমরা বলেছিলাম এসব অপরাধীদের বিরুদ্ধে শুন্য সহিষ্ণুতার নীতি অনুসরণ করবে কমিশন। ইতোমধ্যেই সরকারি ত্রাণসামগ্রী আত্মসাতে বেশকিছু মামলা হয়েছে। আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, এ জাতীয় অপরাধে যারা জড়িত তাদের প্রত্যেক-কেই আইনের মুখোমুখি হতে হবে। কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। অপরাধীদের সামাজিক বা পেশাগত বা অন্য কোনো পরিচয় কমিশনের নিকট ন্যূনতম গুরুত্ব বহন করবে না। "
ইকবাল মাহমুদ বলেন, " অন্যন্য মামলার মতোই ত্রাণ আত্মসাতের প্রতিটি মামলা সর্বোচ্চ গুরুত্বের সাথে তদন্ত করা হবে। প্রয়োজনে একটি বিশেষ কমিটি বা টাস্কফোর্স গঠন করে এসব মামলার তদন্ত ও প্রসিকিউশন কার্যক্রম মনিটরিং করা হবে। "
নিউজবাংলাদেশ.কম/এমএজেড/কেএইচ