করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ পরিবার পাবে এককালীন নগদ ২৫০০ টাকা
প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের কারণে সারা দেশে ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ দরিদ্র পরিবারকে আড়াই হাজার টাকা করে নগদ সহায়তা দেবে সরকার।
অর্থ মন্ত্রণালয় এবং ত্রাণ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রগুলো জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৪ মে বৃহস্পতিবার এ টাকা দেয়ার কার্যক্রম উদ্বোধন করার কথা। শুরু হওয়ার পর চলবে ঈদের আগ পর্যন্ত। এতে সরকারের ১ হাজার ২৫০ কোটি টাকা খরচ
তালিকায় রিকশাচালক, ভ্যানচালক, দিনমজুর, নির্মাণশ্রমিক, কৃষিশ্রমিক, দোকানের কর্মচারী, ব্যক্তি উদ্যোগে পরিচালিত বিভিন্ন ব্যবসায় কর্মরত শ্রমিক, পোলট্রি খামারের শ্রমিক, বাস-ট্রাকের পরিবহনশ্রমিক, হকারসহ নানা পেশার মানুষকে তালিকার মধ্যে রাখা হয়েছে বলে জানান দুর্যোগসচিব মো. শাহ্ কামাল। সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সহায়তায় দরিদ্র জনগোষ্ঠী বর্তমানে যেসব সহায়তা পাচ্ছে, এ তালিকায় তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি বলে জানা গেছে। তালিকার কাজ শেষ করা হয়েছে ৭ মে। অবশ্য এখনো যাচাইয়ের কাজ চলছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান শনিবার বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে যেসব পরিবার কোন না কোনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের মধ্য থেকে যাচাই বাছাই সাপেক্ষে ৫০ লাখ পরিবারকে আড়াই হাজার টাকা করে দেয়া হবে। ঈদের আগে টাকাটা তাদের কাজে লাগবে। গ্রাম-শহরনির্বিশেষে এ টাকা দেওয়া হবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
জানা গেছে, উদ্যোগটির সঙ্গে জড়িত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ। আর পরিবার চিহ্নিত করা হয়েছে স্থানীয় সরকার অর্থাৎ জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদকে নিয়ে। গত মাসে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দেওয়ার পর পরিবারপ্রতি এক হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা ভাবা হয়েছিল। পরে ভাবা হয় দুই হাজার টাকা করে দেওয়ার। কিন্তু শেষের দিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় আড়াই হাজার টাকা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কাল সোমবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ এ টাকা ছাড় করবে।
যোগাযোগ করলে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব আহমদ কায়কাউস গতকাল মোবাইল ফোনে বলেন, চলতি সপ্তাহের শেষ দিকে এ কার্যক্রম উদ্বোধন হতে পারে।
জানা গেছে, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের সহায়তায় ইতিমধ্যে টাঙ্গাইল জেলায় একটা মডেল দাঁড় করানো হয়েছে। সেই মডেল অনুসরণ করেই করা হয়েছে তালিকা। তালিকা করার কাজটি করেছে একটি কমিটি। ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, সদস্য, সমাজের গণমান্য ব্যক্তি ও প্রশাসনের ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটিগুলো প্রায় এক মাস ধরে এ তালিকা তৈরির কাজে যুক্ত ছিলেন। একইভাবে পৌরসভা পর্যায়ে ওয়ার্ডভিত্তিক কমিটি কাজ করেছে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি