দেশে শনাক্ত করোনা রোগীদের ৫৬ শতাংশই ঢাকায়
রাজধানীজুড়ে এখন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী। সারা দেশে শনাক্ত হওয়া রোগীদের ৫৬ শতাংশই ঢাকা মহানগরীতে। উত্তর-দক্ষিণ, পূর্ব-পশ্চিম- রাজধানীর প্রায় সব এলাকাতেই করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।
সোমবার রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) দেওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, রাজধানীর ১৭০টি এলাকায় করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৮২ জনের। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৬৮৮ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ১৪৩ জনে। এ সময়ে সুস্থ হয়েছেন ১৪৭ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছে ১ হাজার ২১০ জন।
সোমবার দুপুরে স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানান।
৩ মে পর্যন্ত রাজধানীতে এককভাবে সবচেয়ে বেশি করোনা রোগী রাজারবাগ এলাকায়। এ এলাকার ১৬৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে প্রায় সবাই রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে আক্রান্ত পুলিশ সদস্য। এরপর কাকরাইলে ১৫০ জন এবং যাত্রাবাড়ীতে ১০১ জন।
রাজধানীতে সবচেয়ে বেশি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী রয়েছে পুরান ঢাকা এলাকায়। এখানে রোগীর সংখ্যা ছয় শতাধিক। পুরান ঢাকায় সবচেয়ে বেশি রোগী রয়েছে লালবাগে। ঘনবসতিপূর্ণ এই এলাকায় ৭৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত করা গেছে। এর পাশাপাশি বংশালে ৫৮, চকবাজারে ৩২, গেন্ডারিয়ায় ৪৮, মিটফোর্ডে ৩৮, ওয়ারিতে ৪২, চানখাঁরপুলে ৩১ জন করে করোনা রোগী রয়েছে।
বৃহত্তর মিরপুর এলাকায় প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। এখন পর্যন্ত এ এলাকায় দুই শতাধিক করোনা রোগী শনাক্ত করা গেছে। মিরপুর-১ নম্বরে ৩২, ২ নম্বরে দুইজন, ৬ নম্বরে ৯ জন, ১০ নম্বরে ১৮ জন, ১১ নম্বরে ৩২ জন, ১২ নম্বরে ১৮ জন, ১৩ নম্বরে ৩ জন এবং ১৪ নম্বরে ৩৭ জন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।
এছাড়া বাড্ডায় ৪১, বাসাবোতে ৩৪, ধানমন্ডিতে ৩৮, হাজারীবাগে ৩৮, খিলগাঁওয়ে ৩৯, মালিবাগে ৬২, গুলশানে ৩২, মগবাজারে ৪৩, জুরাইনে ৩২, মহাখালীতে ৭১, মোহাম্মদপুরে ৮১, মুগদায় ৮০, পুরানা পল্টনে ২৭, নয়া পল্টনে ২৯, শাহবাগ এলাকায় ৫১, শ্যামলীতে ২৯, তেজগাঁওয়ে ৫৫, স্বামীবাগে ৩৬ ও উত্তরায় ৬৩ জনসহ প্রায় সব এলাকাতেই কিছু না কিছু রোগী রয়েছে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি