News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০২:৫৫, ৩ মে ২০২০
আপডেট: ০৪:২৭, ৫ মে ২০২০

জামালপুরে ত্রাণের স্লিপ নিয়ে সংঘর্ষে আহত ২০, আহত ২ সাংবাদিকও

জামালপুরে ত্রাণের স্লিপ নিয়ে সংঘর্ষে আহত ২০, আহত ২ সাংবাদিকও

জামালপুরে ত্রাণের স্লিপের তালিকা তৈরি নিয়ে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় ইন্ডিপেনন্ডেন্ট  ও সময় টিভির দুই ক্যামেরাপার্সনকে পিটিয়ে আহত করে তাদের ক্যামেরা ভাঙচুর করা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৩ রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঘটনাটি ঘটে শনিবার সন্ধ্যায় জামালপুর শহরের শাহপুর এলাকায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ত্রাণের স্লিপকে কেন্দ্র করে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হেলাল উদ্দিন এবং ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন সেতুর মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। বিরোধের জের ধরে ওইদিন সন্ধ্যায় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দুপক্ষ মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংর্ঘষে লিপ্ত হয়। ওই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১৮ জন আহত হয়। সে সময়ে সময় টিভির ক্যামেরাপার্সন আবুল কালাম আজাদ ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির ক্যামেরাপার্সন আল-আমিন তাদের দায়িত্ব পালনকালে হেলাল কাউন্সিলরের ছেলে অন্তরের নেতৃত্বে তাদের মারধর করে ক্যামেরা ভাঙচুর করা হয়।
পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ তিন রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে। ওইসময় সন্ত্রাসীদের পিটুনিতে গুরুতর আহত সময় টিভির ক্যামেরাপার্সন আবুল আজাদকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং ইন্ডিপেনডেন্ট টিভির ক্যামেরাপার্সন আল আমিন প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কর্মস্থলে ফিরে আসেন।
এবিষয়ে মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, ত্রাণের স্লিপে হেলাল কমিশনার অনেক দিন ধরে নিজের আত্মীয় স্বজনদের নাম দিয়ে দুর্নীতি করে আসছে। এছাড়া ত্রাণের তালিকায় গরিব দুঃখীদের নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য টাকাও নিয়েছেন তিনি। এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে হেলাল কমিশনার ও তার দলবল তাকে মারধর করে। এসময় দুইজন ক্যামেরাপার্সন কেউ মারধর করা হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন তিনি।
অপরদিকে এ বিষয়ে কাউন্সিলর হেলাল জানান, কেন এ ঘটনা ঘটলো তা তিনি জানেন না। আর ঘটনার সময় কয়েকশ লোক থাকায় কে বা কারা ক্যামেরাপার্সনদের মারধর করেছে তাও তিনি জানেন না।
জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালেমুজ্জামান জানান, ক্যামেরাপার্সনদের মারধর ও ক্যামেরা ভাঙচুরের ঘটনাসহ উভয় পক্ষের সংঘর্ষ এ রাতে তিন রাউন্ড ফাঁকা গুলির বিষয় নিশ্চিত করে বলেন, “পৃথকভাবে তিনটি মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে। মামলা দায়েরের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

নিউজবাংলাদেশ.কম/এফএ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়