করোনার ভয়ে টাঙ্গাইলে এক কর্মকর্তার পলায়ন
করোনা ভাইরাসের ভয়ে টাঙ্গাইলে এক কর্মকর্তা অফিস থেকে পালিয়েছে। তার নাম মোস্তাইন বিল্লাহ। তিনি টাঙ্গাইল সদর উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপ সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এক মাস পাঁচদিন যাবত তিনি পলাতক রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার তার বিরুদ্ধে বিধিগত ব্যবস্থা নিতে উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয়া হয়েছে এবং তাকে শোকজ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এ.কে.এম মমিনুল হক জানান, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা উপ সহকারী প্রকৌশলী মোস্তাইন বিল্লাহ গত মার্চ মাসের ২৫ তারিখে অফিসের কাউকে না বলে হঠাৎ উধাও হয়ে যান। পরে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে, তিনি বলেন, তার গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়ায় চলে গেছেন। এই করোনার ভয়ে তিনি অফিস করবেন না। পরবর্তীতে তার সাথে একাধিক সময়ে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করে কেটে দেন। পরে তার সাথে টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের একাধিক কর্মকর্তা মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে মোস্তাইন বিল্লাহ তাদেরও একই কথা বলেন এবং এক পর্যায়ে অফিসের সবার ফোন ও মোবাইল নম্বর ব্লক করে দেন। তার সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তখনো মোস্তাইন বিল্লাহ একই কথা বলেন ও ফেসবুকে মমিনুল হককে ব্লক করে দেন।
এই বিষয়ে টাঙ্গাইল সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এ.কে.এম মমিনুল হক আরো বলেন, দেশের এই করোনা ভাইরাসের মহামারীর সময়ে সরকারের যে সমস্ত অফিসগুলো জরুরী সেবার জন্য দিন-রাত গুরুত্বপূর্ণভাবে কাজ করছে তাদের মধ্যে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস অন্যতম। আর এই অফিসের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা হিসেবে উপ সহকারী প্রকৌশলী মোস্তাইন বিল্লাহ পদ ও কাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অথচ তিনি সরকারি চাকুরীবিধি অমান্য করে ও টাঙ্গাইল সদর উপজেলার নানারকম কাজ ফেলে চলে গেছেন। উর্ধ্বতন সকল কর্মকর্তার নির্দেশ অমান্য করে এক মাস পাঁচদিন যাবত অফিস থেকে পালিয়ে রয়েছেন। এটা মারাত্বক সরকারি চাকুরীবিধি লংঘন। যাহা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তার এই দীর্ঘ পালানোর সময়ে অত্র অফিসের নানা কাজে ব্যাঘাত ঘটেছে এবং সরকারি অন্যান্য কর্মকান্ডেও প্রভাব পড়েছে।
এই বিষয়ে পলায়নকৃত উপ সহকারী প্রকৌশলী মোস্তাইন বিল্লাহ এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এএস