করোনা: টাঙ্গাইলে একই পরিবারের ৪ জনসহ নতুন আক্রান্ত ৫
টাঙ্গাইলের সখিপুরে করোনায় একই পরিবারের চারজন ও গোপালপুরে একজন করোনা শনাক্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে সখিপুরের চার জনেরই কোন প্রকার উপসর্গ প্রকাশ পায়নি। এই নতুন ৫জন নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৮ জনে।
গত বৃহষ্পতিবার জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে তাদের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকার রোগত্বন্ত্র, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এ পাঠানো হলে সেখান থেকে তাদের করোনা ভাইরাস পজেটিভ থাকার কথা জানানো হয়।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টায় জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ওয়াহীদুজ্জামান গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিভিল সার্জন গণমাধ্যমকে জানান, বৃহষ্পতিবার জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে ১১৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকার আইইডিসিআরে পাঠানো হয়। গতকাল ৫জন করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসে। এদের মধ্যে সখীপুরে একই পরিবারের ৪জন ও গোপালপুর একজন রয়েছেন। আক্রান্ত ৫ জনই এখন পর্যন্ত সুস্থ ও নিজ বাড়িতে রয়েছেন। আজ তাদের সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
তিনি আরও জানান, বৃহষ্পতিবার পর্যন্ত জেলায় মোট এক হাজার ৪৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয়েছিলো। তাদের মধ্যে ১৮ জনের করোনা পজেটিভ পাওয়া গেলো। আক্রান্তদের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১জনের মৃত্যু হয়েছে। আরও দুইজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে এসেছেন।
এ ব্যাপারে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুস সোবহান গণমাধ্যমকে জানান, গত ২১শে এপ্রিল মঙ্গলবার উপজেলার লাঙ্গুলিয়া এলাকার এক ব্যক্তির করোনা আক্রান্ত বলে শনাক্ত হন। তিনি ঢাকায় কাঁচামালের ব্যবসা করতেন। করোনা ধরা পড়ার ১৯ দিন আগে তিনি ঢাকা থেকে নিজ বাড়িতে চলে এসেছিলেন। গত দুইদিন ধরে হালকা জ্বর থাকায় তার নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়। পরে তার রিপোর্ট পজেটিভ আসে।
এর পরই গত বুধবার ওই ব্যক্তির পরিবারের সদস্যসহ সংস্পর্শে এসেছে এমন ১১ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে আইইডিসিআরে তাদের নমুনা পাঠানো হলে সেখান থেকে ৪ জনের নমুনা পজেটিভ আসে।
তারা হলো, ওই ব্যক্তির স্ত্রী, তাদের দুই ছেলে ও এক মেয়ে। তাদের কারোরই করোনার কোন লক্ষণ নেই। তারপরও তাদের নিজ বাড়িতে আপাতত আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। এর আগে তাদের গত ২১শে এপ্রিল ওই ব্যক্তির বাড়িসহ আশেপাশের ৩২টি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিলো।
এদিকে, গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা ডা. আলীম আল রাজি জানান, শনাক্ত হওয়া ওই নারী ঢাকার একটি পোশাক তৈরী কারখানায় কাজ করতেন। তিনি গত কয়েকদিন আগে গোপালপুরের ধোপাকান্দি ইউনিয়নের কামদেব বাড়ী এলাকার নিজ বাড়িতে চলে আসেন। গত ৪-৫ দিন ধরে তার হালকা জ¦র থাকায় বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগকে জানান। পরে গত বুধবার তার নমুনা সংগ্রহ করে বৃহষ্পতিবার সকালে ঢাকার আইইডিসিআরে পাঠানো হয়। সেখান থেকে গতকাল রাতেই তার নমুনা পজেটিভ থাকার কথা জানানো হয়।
আক্রান্তের শারীরিক অবস্থা ভালো রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের সাথে কথা বলে তার বাড়ি ও আশেপাশের এলাকা লকডাউনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/কেএইচ