১২১ কারখানার শ্রমিকরা বেতন পায়নি
বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত ১২১টি কারখানা মালিক এখনও তাদের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করেনি। যা মোট হিসেবের ৩ দশমিক ৩২ শতাংশ বলে জানিয়েছেন তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।
মঙ্গলবার বিজিএমইএ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজিএমইএ জানায়, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত তাদের সদস্যভুক্ত ২ হাজার ১৫৩টি কারখানায় ২৩ লাখ ৮৯ হাজার ৫০০ জন শ্রমিক গত মার্চ মাসের বেতন-ভাতা পেয়েছেন। যা মোট শ্রমিকের ৯৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ। এখনও ১২১টি কারখানা মালিক বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে পারেননি যা মোট হিসেবের ৩ দশমিক ৩২ শতাংশ।
বিজিএমইএ সদস্যভুক্ত মোট ২ হাজার ২৭৪ কারখানার মধ্যে ঢাকা মহানগর এলাকায় রয়েছে ৩৬০টি। এর মধ্যে গত মার্চের বেতন দিয়েছে ৩৩৯টি প্রতিষ্ঠান, বেতন হয়নি ২১টি কারখানায়। গাজীপুরের ৮০৮টি কারখানার মধ্যে বেতন দিয়েছে ৭৬৪টি, বাকি রয়েছে ৪৪টি, সাভার ও আশুলিয়ায় ৪৭১টির মধ্যে বেতন দিয়েছে ৪৫৮টি বাকি রয়েছে ১৩টি।
নারায়ণগঞ্জের ২৬৯টি পোশাক কারখানার মধ্যে বেতন দিয়েছে ২৬০টি বাকি রয়েছে ৯টি, চট্টগ্রামের ৩২৪টি কারখানার মধ্যে বেতন দিয়েছে ২৯৩টি বাকি ৩১টির এবং প্রত্যন্ত এলাকার ৪২টি কারখানার মধ্যে বেতন দিয়েছে ৩৯টি বাকি রয়েছে ৪টির। এই হিসেবে মোট ২ হাজার ১৫৩টি কারখানায় ২৩ লাখ ৮৯ হাজার ৫০০ জন শ্রমিক মার্চ মাসের বেতন-ভাতা পেয়েছেন।
তবে বিজিএমইএর সদস্য নয়। যারা সাব কন্টাক্টে কাজ করে এমন বেশ কিছু কারখানার শ্রমিক বেতন পাননি। তার কোনো হিসেব নেই বিজিএমইএর কাছে।
এ প্রসঙ্গে বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক বলেন, এমন একটা পরিস্থিতিতে আমাদের অধিকাংশ কারখানা শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধ করেছে। বড় সব কারখানা তাদের বেতন পরিশোধ করলেও ছোট ও মাঝারি কিছু কারখানা তাদের বেতন পরিশোধ করতে পারিনি। আমরা তাদের সহযোগিতায় অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছি।
আরও বলেন, যেসব কারখানা বেতন পরিশোধ করতে পারিনি আমরা চেষ্টা করছি তাদের আগামী ২২ এপ্রিলের মধ্যে হবে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এমএজেড/এএস