করোনা উপসর্গ নিয়ে আরো ৫ জনের মৃত্যু
করোনা উপসর্গ নিয়ে বৃহস্পতিবার সিলেটে এক শিশু ও বুধবার কিশোরগঞ্জে অপর এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া বাগেরহাট, ফরিদপুরের নগরকান্দা এবং চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় করোনা উপসর্গ নিয়ে আরো তিন জন মারা গেছেন। এই নিয়ে দেশে করোনা উপসর্গ নিয়ে ১২৭ জনের মৃত্যু হলো।
সিলেট: নগরীতে গতকাল বৃহস্পতিবার করোনার উপসর্গ নিয়ে এক শিশুর (১০) মৃত্যু হয়েছে। শিশুটি গত কয়েকদিন ধরে জ্বর, সর্দি ও কাশিরত ভুগছিল। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে স্বজনরা তাকে প্রথমে সিলেট উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে ডাক্তাররা মেয়েটির দেহে করোনার লক্ষণ দেখে তাকে সিলেট শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু শিশুটির স্বজনরা তাকে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিত্সকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় বলেন, শিশুটি সেখানে নেওয়ার আগেই মারা যায়। করোনা পরীক্ষার জন্য তার দেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার দানাপাটুলি গ্রামে করোনার উপসর্গ নিয়ে সিনথিয়া নামে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী বুধবার রাতে নিজ বাড়িতে মারা গেছে। তার বাবা স্বপন মিয়া নারায়ণগঞ্জে কাজ করতেন। তিনি গত ৫ এপ্রিল বাড়িতে ফিরে আসেন। সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান জানান ঐ কিশোরীর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকার আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে।
বাগেরহাট: বাগেরহাট সদর হাসপাতালে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি এক রোগী মরা গেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাগেরহাট সদর উপজেলার বারুইপাড়া গ্রামের শেখ নূরুল ইসলাম (৫২) করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে এলে দ্রুত তাকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিত্সাধীন অবস্থায় বিকাল ৫টায় তার মৃত্যু হয়। হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. বেলফোর হোসেন জানান, মৃতের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার পরিবারের সদস্যদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
নগরকান্দা (ফরিদপুর): ফরিদপুরের নগরকান্দায় করোনা উপসর্গ নিয়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার চরযশোরদী ইউনিয়নের বানেশ্বরদী গ্রামের হায়দার শিকদারের স্ত্রী হাসি বেগম (৩৮) মারা যান। তিনি কয়েকদিন যাবৎ সর্দি, কাশি, জ্বর ও ডায়রিয়ায় ভুগছিলেন। তার স্বামী হায়দার শিকদার (৫০) ও ছেলে আবুল বাশার মিয়াও (২০) অসুস্থ রয়েছেন বলে জানা গেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফরহাদ হোসেন বলেন, “সংবাদ পেয়ে মেডিক্যাল টিম পাঠিয়ে হাসি বেগম ও তার স্বামী হায়দার শিকদার ও পুত্র আবুল বাশারের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বাড়ির অন্য সদস্যদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।”
মতলব উত্তর (চাঁদপুর): চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় করোনা উপসর্গে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুসরাত জাহান মিথেন বলেন, “মারা যাওয়া ব্যক্তির জ্বর, সর্দি, কাশিসহ করোনার কিছু উপসর্গ থাকায় আমরা তার শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করছি।”
নিউজবাংলাদেশ.কম/এফএ