আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সের জন্য আকুতি জানিয়েছিলেন ডা. মঈন!

দেশে প্রথম করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারানো ডা. মঈন উদ্দীন একটি আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সের জন্য আকুতি জানিয়েছিলেন সবাইকে। কিন্তু মিলেনি। সাধারণ অ্যাম্বুলেন্স যোগাড় করেই এসেছিলেন ঢাকায়। ভর্তি হয়েছিলেন কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে। অবশেষে আজ ভোরেই শেষ বিদায় নিলেন করোনা যোদ্ধা এই বীর।

তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল।

কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিল আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ডা. মঈন উদ্দীন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ডা আনিসুর রহমান জানান, ডা. মঈন উদ্দীন আগে থেকেই ভেন্টিলেটরে ছিলেন। সংক্রমণ তার হার্টে ছড়িয়ে পড়েছিল। মঙ্গলবার রাত থেকে তার শরীর বেশি খারাপ করে।

তিনি আরও জানান, সংক্রমণ বিধি মেনে ঢাকাতেই তার দাফন হবে।

ডা. মঈন উদ্দীন ছিলেন ভদ্র ও বিনয়ী। তিনি গরীব মানুষের ফি নিতেন না। তার বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার ধারনে। তিনি পরিবারসহ সিলেটের হাউজিংস্টেটে থাকতেন।

ঢাকা মেডিকেলের মেধাবি ছাত্র ড. মঈন করোনা যুদ্ধে প্রথম সারির যোদ্ধা ছিলেন। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হন তিনি। গত ৫ এপ্রিল তার করোনা পজিটিভ আসে। তখন থেকেই তার পরিবারসহ সিলেট নগরীর হাউজিং এস্ট্রেট এলাকা লকডাউন ঘোষণা করা হয়। অবস্থায় অবনতি ঘটলে ৭ এপ্রিল ডা. মঈনকে নগরীর শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালে করোনা ইউনিটে আইসোলেশনে নেওয়া হয়। সেখান থেকে পরবর্তীতে পরিবারের সিদ্বান্ত অনুযায়ী তাকে এ্যম্বুলেন্সযোগে দ্রুত ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়।