News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৩:০২, ১৫ এপ্রিল ২০২০
আপডেট: ১৩:৩৬, ১৫ এপ্রিল ২০২০

শ্রমিক ছাঁটাই, বেতন স্থগিত সহ কারখানা বন্ধ দাবি উস্কানিমূলক: বিজিএমইএ

শ্রমিক ছাঁটাই, বেতন স্থগিত সহ কারখানা বন্ধ দাবি উস্কানিমূলক: বিজিএমইএ

শ্রমিক ছাঁটাই, বেতন স্থগিত ও কারখানা বন্ধ নিয়ে তিনটি শ্রমিক সংগঠনের দাবিকে অসত্য, বিভ্রান্তি ও উস্কানিমূলক উল্লেখ করে তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।

বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বিজিএমইএ জানায়, গত ২৬ মার্চ হতে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত পোশাক কারখানাসমূহ বন্ধ রাখার বিষয়ে বিভ্রান্তির কথা উল্লেখ দায়ভার চাপানোর চেষ্টা হয়েছে।

আরও বলা হয়, বিজিএমইএ কোনো অবস্থাতেই বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদানের আইনগত কর্তৃত্ব রাখেনা। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী জরুরি রফতানি কাজে নিয়োজিত কারখানা ও পিপিই তৈরির কারখানা ব্যতীত অন্যান্য সব কারখানা বন্ধ রাখার বিষয়ে আহ্বান জানায় সংগঠনটি।

করোনাভাইরাস মহামারিতে ঢাকা, আশুলিয়া, সাভার, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন কারাখানায় এমন ছাঁটাইয়ের ঘটনা ঘটেছে বলে গত ১২ এপ্রিল বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল শ্রমিক ফেডারেশন (বিজিআইডব্লিউএফ), বাংলাদেশ মুক্ত গার্মেন্ট শ্রমিক ইউনিয়ন ফেডারেশন (বিআইজিইউএফ) এবং বাংলাদেশ সেন্টার ফর ওয়ার্কার্স সলিডারিটি (বিসিডব্লিউএস) দাবি করে। এ প্রেক্ষিতে বিজিএমইএর সচিব কমডোর মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক (অব.) স্বাক্ষরিত চিঠিতে এর প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

করোনার প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পেতে থাকলে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান ও শ্রমিক প্রতিনিধিবৃন্দের সাথে বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যে, পোশাক কারখানা যেন খোলা রাখা হয়। তাই কোনো প্রকার সমন্বয়হীনতার দায় বিজিএমইএ নেবে না।

প্রধানমন্ত্রীর ২৫ মার্চের জাতীয় ভাষণে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটির ঘোষণা দেন, যা পরে ১২ এপ্রিল ও ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। প্রয়োজনে ওষুধ শিল্প ও রফতানীমুখী শিল্প কারখানা, আন্তর্জাতিক ক্রয়াদেশ ও করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জরুরি অপরিহার্য পণ্য উৎপাদনকারী শিল্প কলকারখানা চালু রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।

তাছাড়া করোনার প্রাদুর্ভাবে ৫ এপ্রিল খোলার নোটিশ দিয়ে পোশাক কারখানা ছুটি দেয়ার শর্তে শ্রমিকদের ঢাকায় যার যার বাসায় অবস্থান করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু ছুটি শেষে শ্রমিকদের দল বেঁধে ঢাকায় ফেরার দৃশ্য আমাদের নজরে আসলে আমরা সবার সাথে পরামর্শক্রমে পুনরায় কারখানা বন্ধ ঘোষণা করি। কিন্তু প্রশ্ন হলো- শ্রমিকরা যখন ঢাকা থেকে বের হলো, শ্রমিক সংগঠনগুলো কেন নীরব ভূমিকা পালন করেছে? এখন সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দোষ চাপানো ও উস্কানিমূলক বিবৃতি প্রদান করে দায় এড়াতে পারেন না শ্রমিক নেতারা।

এছাড়া আছে স্ববিরোধী মন্তব্য। এর মধ্যে রয়েছে- ৫ এপ্রিল কাজে যোগদান না করলে চাকরি চলে যাওয়া, বেতন স্থগিত বা বিলম্বে পরিশোধ করা, হঠ্যাৎ লে-অফ, শ্রমিকের মজুরি কর্তন, শ্রমিক ছাঁটাই ইত্যাদি। এসব বিষয়ের সঙ্গে বিজিএমইএ একমত নয় এবং কারখানা মালিকদের যেকোনো বেআইনি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিজিএমইএ। গত ১২ এপ্রিল শ্রমিক সংগঠনগুলো ছাঁটাইকৃত শ্রমিকদের চাকরিতে বহাল করাসহ পাঁচ দফা দাবি জানায়।

 

নিউজবাংলাদেশ.কম/এমএজেড/এএস

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়