দেশের চারশ স্থানে টিসিবির নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্য বিক্রি হচ্ছে
রমজান উপলক্ষে টিসিবির ন্যায্য মূল্যের নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্য সারা দেশের চারশ স্থানে বিক্রি করা হচ্ছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্যর মধ্য রয়েছে- তেল, চিনি, ছোলা, ডাল, পেঁয়াজ।
বুধবার মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
টিসিবিরর এসব পণ্য বিক্রয় ও তদারকির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এবং ক্রেতা সাধারণের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রায় তিন হাজার ডিলারের মাধ্যমে টিসিবির ন্যায্য মূল্যের নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্য এই বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। ঢাকা শহরের ৯০টি স্থানে, চট্রগ্রামে ৩০টি স্থানসহ দেশের বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে নিয়োজিত ডিলারদের মাধ্যমে টিসিবির পণ্য ন্যায্যমূল্যে বিক্রয় জোরদার করা হয়। টিসিবির পণ্য দেশের সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকায় টিসিবির ট্রাক সেল কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার স্বার্থে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ৮টি ভ্রাম্যমাণ মনিটরিং টিম কাজ করে যাচ্ছে। সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এসব পণ্য দেশের সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রয়ের নির্দেশ দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
টিসিবিরর পণ্য বিক্রয় নিয়ে যেকোনো অনিয়ম করা হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
আলাদা এক বার্তায় তিনি আশ্বাস দেন যে তৈরি পোশাক শ্রমিকরা তাদের মার্চ মাসের বেতন-ভাতা পাবেন। ‘এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।’
পোশাক কারখানায় ঘোষিত ছুটি শেষ হয়ে যাওয়ায় শনিবার দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় কাজে ফেরা শ্রমিকদের ঢল নামে। সড়কে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় তারা ছোট গাড়িতে চেপে এবং এমনকি পায়ে হেঁটে ঢাকার পথে রওনা দেন।
পাটুরিয়া ঘাটে ঢাকাগামী যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, করোনা ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে সাধারণ ছুটি বাড়ানো হলেও পোশাক কারাখানাতে না করা হয়নি। তাদের গত মাসের বেতনও দেয়া হয়নি। রবিবার কাজে যোগ না দিলে বেতন পাবেন না। তাই বাধ্য হয়ে জীবিকার তাগিদে তারা কর্মস্থলে ছুটছেন। করোনার সংক্রমণ ঘটতে পারে জেনেও তারা নিরূপায় হয়ে কর্মস্থলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।
এদিকে, করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে আটজনে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে আরও নয়জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছেন, যাদের মধ্যে দুজন শিশু। এ নিয়ে দেশে মোট ৭০ জন করোনা রোগী শনাক্ত হলো।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এমএজেড/এএস