ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘর্ষে পা কেটে নেয়া মোবারক মারা গেছেন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের থানাকান্দি গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় পা কেটে নেয়া সেই মোবারক মিয়া (৪৫) মারা গেছেন। তিনদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহত মোবারক থানাকান্দি গ্রামের মধু মিয়ার ছেলে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে গত ১২ এপ্রিল থানাকান্দি গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধের জেরে কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান ও থানাকান্দি গ্রামের সর্দার আবু কাউসার মোল্লার সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান। কয়েক দফায় চলা ওই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হন।
সংঘর্ষ চলাকালে জিল্লুর রহমানের সমর্থক মোবারক মিয়ার এক পা কেটে নিয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে গ্রামে আনন্দ মিছিল করেন আবু কাউসার মোল্লার সমর্থকরা। মিছিল থেকে পায়ের বদলে মাথা কেটে নিয়ে আসার কথাও বলা হয়। এছাড়াও সংঘর্ষের সময় বেশ কয়েকটি ঘর-বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ দুই পক্ষের ‘প্রধান হোতা’ জিল্লুর রহমান ও আবু কাউসার মোল্লাসহ ৪২ জনকে আটক করেছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/কেএইচ