চবি শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: ফাইল ফটো
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক শিক্ষার্থীকে মুখ বেঁধে তুলে নিয়ে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ওই শিক্ষার্থীর নাম নুর করিম সাদ। সে ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা দপ্তরের সামনে থেকে মুখ বেঁধে ওই শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে জীববিজ্ঞান অনুষদের পেছনের নির্জন এলাকায় নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়। প্রক্টরিয়াল বডি জীববিজ্ঞান অনুষদ থেকে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে চবি মেডিকেলে নেয়। পরে এক্সরের জন্য তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় জিরো পয়েন্টের মূল ফটক আটকে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে ফটক খোলেন তারা।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী চবি ছাত্রলীগের উপগ্রুপ বিজয়ের কর্মী হিসেবে সোহরাওয়ার্দী হলে থাকতো বলে জানা গেছে। তবে ছাত্রদলের নেতারা সাদকে তাদের কর্মী বলে দাবি করেছেন।
চবি মেডিকেলের দায়িত্বরত চিকিৎসক কেএম আতাউল গনি যুগান্তরকে বলেন, ওই ছাত্রকে রাত ১০টার দিকে এখানে আনা হয়েছিল। ডান পায়ে আঘাতের চিহ্ন ছিল। এছাড়া পিঠে ফুলে যাওয়া একটা আঘাতের চিহ্ন ছিল। মাথা বা বুকে কোনো আঘাত ছিল না, তিনি নিজেই বলেছিলেন। পায়ে এক্সরে করার জন্য চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়।
চবি ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. ইয়াসিন বলেন, সাদ ছাত্রদলের কর্মী। তবে, তারচেয়ে বড় পরিচয় সে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। সন্ত্রাসীরা একজন শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে মারধর করাটা স্বাভাবিক ঘটনা নয়। এই ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।
সহকারী প্রক্টর নুরুল হামিদ কানন যুগান্তরকে বলেন, সিসিটিভি ক্যামেরা দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপাচার্য স্যার বলেছেন তিনি প্রক্টরসহ বিষয়টা নিয়ে বসবেন।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি