পোশাক শিল্পের লক্ষ্য পূরণে সহায়তা করবে যুক্তরাষ্ট্র
ঢাকা: বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে রফতানির ক্ষেত্রে নির্ধারিত লক্ষ্য পূরণে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া ষ্টিফেন্স ব্লুম বার্নিকাট এ আশ্বাস দেন।
বৃহস্পতিবার দুপরে বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফেকচার অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) ভবনে তৈরি পোশাক খাতের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বার্নিকাট সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫০ বিলিয়ন ডলার।
ব্লুম বার্নিকাট বলেন, ‘বাংলাদেশকে তাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে বেশকিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে কারখানার অবকাঠামো ও নিরাপত্তা, শ্রমিক আইনের প্রয়োগ, জ্বালানি সমস্যা, বন্দর সমস্যা, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের গ্রহণযোগ্যতা এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতির স্বাভাবিকতা। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে পারলে বাংলাদেশ অবশ্যই তাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে। আর এ জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ যে সহযোগিতা চাইবে, তা অবশ্যই করা হবে।’
এ সময় এসব চ্যালেঞ্জকে মহাচ্যালেঞ্জ হিসেবে আখ্যায়িত করেন বার্নিকাট। তবে ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ঘটনার পর স্থগিত হওয়া জিএসপি সুবিধার বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।
এরপর বেলা দেড়টার দিকে বিজিএমইএ বর্তমান ও সাবেক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে পোশাক শিল্পের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় বসেন বার্নিকাট।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপের শুরুতে বিজিএমইএ সভাপতি আতিকুল ইসলাম একটি তথ্যচিত্রের মাধ্যমে স্বাধীনতার পর থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত দেশের তৈরি পোশাক খাতের পরিস্থিতি এবং আন্তর্জাতিক অবস্থান তুলে ধরেন। এছাড়া পাকিস্তানের জিএসপি প্লাস সুবিধা প্রাপ্তি ও বাংলাদেশের জিএসপি স্থগিতের বিষয়েও কথা বলেন তিনি।
এ সময় তিনি জানান পোশাক শিল্পে বাংলাদেশের সঙ্গে ভিয়েতনাম, ভারত, পাকিস্তানের প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে।
রাজনৈতিক অস্থিরতায় দেশের তৈরি পোশাকের রফতানি স্বাভাবিক থাকলেও ৪০টি কারখানা জরিপে ১৯০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জানান আতিকুল ইসলাম।
এসময় বিজিএমইএ সাবেক সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী, বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি শহিদুল্লাহ আজিম, রিয়াজ বিন মাহমুদসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
নিউজবাংলাদেশ.কম/জেএস/এফই
নিউজবাংলাদেশ.কম