‘আর্থিক খাতে সাইবার দুর্ঘটনার ১০টির ৯টি গোপন রাখা হয়’
ঢাকা: আর্থিক খাতে সাইবার দুর্ঘটনার দশটির মধ্যে ৯টি গোপন রাখা হয় বলে জানিয়েছেন ভারতের ইনস্যুরেন্স ইনফরমেশন ব্যুরোর পরিচালক জয়দেব রায়।
শনিবার সকালে রাজধানীর বিয়াম অডিটেরিয়ামে এক সেমিনারে তিনি এ তথ্য জানান। সার্ক টেক সামিট এ সেমিনারের আয়োজন করে। সেমিনারের দ্বিতীয় দিনে আলোচনার বিষয় ছিল, ফিন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ইন দ্য ডিজিটাল ইরা: অপরচুনিটি অ্যান্ড চ্যালেঞ্জেস।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভারতের ইনস্যুরেন্স ইনফরমেশন ব্যুরোর পরিচালক জয়দেব রায়। তিনি বলেন, “আর্থিক খাতে যেসব সাইবার দুর্ঘটনা ঘটে, এর দশটির মধ্যে ৯টি গোপন রাখা হয়। অর্থ লেনদেনের ডিজিটাল ব্যবস্থা নিরাপদ হবে, যদি এর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা যায়। মোবাইল ব্যাংকিং ও ইএফটির মতো সেবার জনপ্রিয়তা বাড়ছে। কারণ এগুলো প্রযুক্তিনির্ভর ও সহজ।”
এসময় বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা বলেন, “ইন্টারনেট ব্যাংকিং ও ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার (ইএফটি) ব্যবস্থায় বর্তমানে দৈনিক সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা লেনদেন হচ্ছে। তবে এ সেবায় আন্তঃব্যাংক লেনদেন সুবিধা নেই। শিগগিরই এটি চালু করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।”
তিনি আরো বলেন, “ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচের মাধ্যমে লেনদেনের অন্যতম সমস্যা হলো ভেন্ডর নির্ভরতা। সব ধরনের পেমেন্ট ব্যবস্থাকে নিরাপদ করার জন্য কাজ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচের অধীনে বর্তমানে ৩৪টি ব্যাংক পয়েন্ট অব সেলস (পস) সুবিধায় যুক্ত হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রতিদিন পাঁচ কোটি টাকা লেনদেন হচ্ছে।”
শুভঙ্কর সাহা বলেন, “ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়েও আন্তঃব্যাংক লেনদেন সুবিধা যুক্ত করতে চায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। খুব শিগগিরই এটি চালু হবে। দেশে ২০টি ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিংয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এর মধ্যে দু’তিনটি ছাড়া বাকিগুলোর অবস্থা সুবিধার নয়।”
তিনি আরো বলেন, “এসব ব্যাংকে আন্তঃব্যাংক লেনদেন সুবিধাও চালু নেই। এক্ষেত্রে ইএসএসডি প্রাইসিং প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। এরপরও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে দৈনিক দুই কোটি টাকা লেনদেন হচ্ছে।”
নিউজবাংলাদেশ.কম/জেএস/এটিএস
নিউজবাংলাদেশ.কম