সংসদে অর্থমন্ত্রী
চলমান পরিস্থিতিতে জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন কঠিন
ঢাকা: চলমান পরিস্থিতিতে বর্তমান অর্থবছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধি অর্জন অসম্ভব বলে মনে করছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘‘চলমান সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশজ মোট উৎপাদন বা জিডিপি’র প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৩
শতাংশে উন্নীত করনে খানিকটা পরিবর্তন আনা দরকার হতে পারে।’’
রোববার দশম সংসদ অধিবেশনে সংসদ সদস্য সেলিম উদ্দিনের এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী এ তথ্য দেন ।
এসময় তিনি অভিযোগ করেন, ‘‘এ বছরের জানুয়ারি থেকে বিএনপি’র নেতৃত্বাধীন ২০ দল লাগাতার হরতাল অবরোধ দিয়ে দেশের অর্থনীতির চরম ক্ষতি করে চলেছে। ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য ক্ষতিকর এ অনাকাঙ্খিত কর্মকাণ্ডে পোশাক রফতানি খাত, ব্যবস- বাণিজ্য, উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন, রাজস্ব আহরণ ও বিনিয়োগ পরিস্থিতির ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। সে কারণে কাঙ্খিত জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন অসম্ভব হতে পারে।’’
তবে জানুয়ারির আগে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সূচকগুলো ভালো অবস্থানে ছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মুহিত বলেন, ‘‘জিডিপির প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিনিয়োগ পরিস্থিতির গুণগত পরিবর্তনের দিকে বিশেষ নজর দিয়েছে
সরকার।’’
তিনি সংসদকে জানান, ‘‘২০১৪-১৫ অর্থ বছরের প্রথম ৬ মাসে সামষ্টিক অর্থনীতির প্রায় সকল সূচকে আশাব্যঞ্জক
অগ্রগতি হয়েছিল। উৎপাদন, রফতানি, আমদানি, প্রবাসী আয় (রেমিটেন্স), বৈদেশিক মূদ্রার রিজার্ভ, রাজস্ব আহরণসহ সব উন্নয়ন কার্যক্রমের গতি সাবলীল ছিল। জানুয়ারিতে এসে বিএনপি এবং তাদের মিত্ররা লাগাতার হরতাল অবরোধ দেওয়ায় অর্থনীতির সেই সূচকগুলোর গতি কমে গেছে। যে কারণে জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হয়।
এতে জিডিপি লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হওয়ার সম্ভাবনা খানিকটা কমেছে। তবে জিডিপির প্রবৃদ্ধি অর্জনে সরকার জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।”
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকী’র অপর এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘‘গত বছরের ডিসেম্বর মাস
পর্যন্ত ব্যাংকিং খাতে শ্রেণিবিন্যাসকৃত ঋণের পরিমান ছিল ৫০ হাজার ১ শত ৫৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকা।”
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইনের অপর এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী মুহিত বলেন, ‘‘মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩ কোটি ১৯ লাখ ৯০ হাজার ১৭৫ টাকা রাজস্ব আদায়
হয়েছে।”
সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিকের লিখিত প্রশ্নের উত্তরে মুহিত সংসদকে জানান, ‘‘দেশে ২০০৮ থেকে ২০১৫
সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সরকারের বিভিন্ন দফতর মোট ২ হাজার ৩৪৪ দশমিক ১৯ কেজি সোনা আটক করেছে।
এসব স্বর্ণ বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে যথাযথ পদ্ধতিতে জমা রাখা হয়েছে।”
নিউজবাংলাদেশ.কম/এমএ/এএইচকে
নিউজবাংলাদেশ.কম