লাউ নেও বাহে মাত্র ৫ টাহা
কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামের কৃষকরা লাউ চাষ করে মহা বিড়ম্বনায় পড়েছেন। উপজেলার বিভিন্ন হাট ঘুরে দেখা যায়, অনেকে মাইক দিয়ে প্রচার করেও লাউয়ের ক্রেতা পাচ্ছেন না। লাউ চাষীরা ‘লাউ নেও বাহে দাম মাত্র ৫ টাহা’ এভাবে নানামুখী প্রচারণা চালিয়ে সস্তায় বিক্রি করতে চেয়েও লাউ বিক্রেতা খুঁজে পাচ্ছেন না।
নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরবন্দ, নুনখাওয়া ও হাসনাবাদ হাট ঘুরে দেখা যায়, অনেক কৃষক ঠেলাগাড়ি ভর্তি লাউ বেচতে এসে বিক্রি না হওয়ায় ফেরত নিয়ে যাচ্ছেন। কেউ কেউ নাম মাত্র দামে লাউ বিক্রি করে ঠেলাগাড়ির ভাড়া তুলছেন।
নাগেশ্বরী উপজেলার হাসনাবাদ এলাকার কৃষক জমসের তার আবাদের ৪/৫শ লাউ সাতটি ঠেলাগাড়িতে করে ভিতরবন্দ হাটে নিয়ে গিয়ে অভিনব কায়দায় মাইক দিয়ে প্রচার করছেন ‘লাউ নেও বাহে দাম মাত্র ৫ টাহা’। এমনকি লাউ বিক্রি করতে সাধের লাউয়ের গানও গাইছেন মাইকে।” তবু লাউয়ের ক্রেতা পাচ্ছেন না।
একই উপজেলার ভিতরবন্দ ইউনিয়নের কৃষক দবির উদ্দিন জানান, “গত মৌসুমে তিন বিঘা জমিতে লাউ চাষ করে অনেক টাকা মুনাফা হয়েছে। সে আশায় এ মৌসুমেও তিন বিঘা জমিতে লাউ আবাদ করছি। লাউয়ের ফলন ভাল হইছে। কিন্তু হরতাল অবরোধের কারণে বাইরের পাইকার আসতে না পারায় আমরা এবার মাঠে মারা গেলাম। আসল টাকাই উঠবে না।”
উপজেলার কৃষক মাহাতাব, লোকমান আলী, আবেদ ও ছোলেমান মিয়া জানান, লাউ চাষ করে এবার আহম্মকি হইছি। হরতালের ফাঁন্দত পড়ি এবার সউগ শ্যাষ।”
এব্যাপারে নাগেশ্বরী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাসুদুর রহমান বলেন, “গত মৌসুমে লাউয়ের দাম ভাল পাওয়ায় চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় অনেক কৃষক বেশি বেশি জমিতে লাউ চাষ করেছে। বাম্পার ফলন হয়েছে। দেশের বর্তমান অস্থিরতায় বাইরের পাইকার সময় মত আসতে না পারায় পাইকারী বিক্রির অভাবে কৃষকের ক্ষতি হচ্ছে।”
নিউজবাংলদেশ.কম/কেজেএইচ
নিউজবাংলাদেশ.কম