৫০ কোটি ডলার সহায়তা দেবে বিশ্ব ব্যাংক
মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সফররত বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যানেট ডিক্সনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান মন্ত্রী।
অর্থমন্ত্রী বলেন, গত অর্থবছরে (২০১৩-১৪) বিশ্ব ব্যাংক বাংলাদেশকে প্রায় ৩০০ কোটি ডলারের ঋণ-সহায়তা ছাড় করেছিল। চলতি অর্থবছরেও সে ধারা অব্যাহত রয়েছে।
“এই ঋণ-সহায়তার পাশাপাশি বিশ্ব ব্যাংক আমাদের ৫০০ মিলিয়ন ডলারের বাজেট সহায়তা দিতে রাজি হয়েছে। বিশ্ব ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।”
বিশ্ব ব্যাংক ভাইস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে কীনা- এ প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, “না এ সব নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। তিনি এ সব বিষয়ে কিছু জানতেও চাননি।
“ভদ্র মহিলা প্রথম বাংলাদেশ সফরে এসেছেন, প্রথম অলাপ। তিনি বলেছেন, আমি শুনেছি। আমি বলেছি..তিনি শুনেছেন। এক ধরনের আলাপচারিতা আর কি। এর বাইরে বাংলাদেশের দারিদ্র্য পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
“আমি তাকে বলেছি, আমরা ২০১৮ সালের মধ্যে দারিদ্র্যমুক্ত হব। তিনিও আমার সঙ্গে এগ্রি করেছেন”
মুহিত বলেন, বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার এখন ১১ থেকে ১৪ শতাংশের মধ্যে। পরিসংখ্যান ব্যুরো খানাজরিপ করছে, বছর শেষে প্রকৃত তথ্য পাওয়া যাবে।
বিশ্ব ব্যাংক ভাইস প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের রাজস্ব আদায় বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানান মুহিত।
আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশে দ্রারিদ্যের হার ১২ শতাংশ হলে সে দেশকে দারিদ্র্যমুক্ত বলা হয়।
বিশ্ব ব্যাংক ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যানেট ডিক্সন সাংবাদিকদের বলেন, অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে মূলত বাংলাদেশের দ্রারিদ্র্য বিমোচন নিয়েই আলোচনা হয়েছে। এছাড়া বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় চলমান প্রকল্পগুলো নিয়ে অলোচনা হয়েছে।
২০০৮ সালের পর বিশ্ব ব্যাংকের কাছ থেকে কোনো বাজেট সহায়তা পায়নি বাংলাদেশ।
পাঁচ দিনের সফরে শনিবার বিকেলে বাংলাদেশে এসেছেন অ্যানেট ডিক্সন, বুধবার ঢাকা ছাড়বেন তিনি।
এ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ দিতে হবে।
নিউজবাংলাদেশ.কম