News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৪:১৪, ১৫ মার্চ ২০১৫
আপডেট: ১০:২২, ১৮ জানুয়ারি ২০২০

আইন লঙ্ঘনের দায়ে ইউনাইটেড পরিচালনা পর্ষদকে জরিমানা

আইন লঙ্ঘনের দায়ে ইউনাইটেড পরিচালনা পর্ষদকে জরিমানা

ঢাকা: বীমা আইন-২০১০ লঙ্ঘনের দায়ে ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যানসহ পরিচালনা পর্ষদ সদস্যদের জরিমানা করেছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। সম্প্রতি কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ে একচ্যুয়ারি চেয়ারম্যান এম শেফাক আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শুনানিতে এ জরিমানা করা হয়।

শুনানিশেষে বীমা আইন-২০১০ এর ১৩৪ ধারা অনুযায়ী ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্সের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যানসহ সব সদস্যের প্রত্যেককে ব্যক্তিগতভাবে এক লাখ করে মোট আট লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্সের পরিচালনা পর্ষদে যারা রয়েছেন, তারা হলেন-চেয়ারম্যান সৈয়দ আজিজ আহমদ, নিরপেক্ষ পরিচালক এম হাফিজউল্লা, ড. ওয়াহিউদ্দিন মাহমুদ, উদ্যোক্তা পরিচালক এমএ আজিজ, এম শাহ্ আলম, এম সাইফুল ইসলাম, জনগণ অংশের শেয়ার গ্রহীতা পরিচালক এম হারুনুর রশিদ, নিরপেক্ষ পরিচালক এমএম আলম প্রমুখ।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, “বীমা আইন-২০১০ মোতাবেক ‘বীমা কোম্পানি (মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ ও অপসারণ) প্রবিধানমালা ২০১২’ পরিপালনে ব্যর্থ হওয়ায় ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যানসহ সব সদস্যকে ব্যক্তিগতভাবে এক লাখ করে মোট আট লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।”

শুনানিতে আইডিআরএ সদস্য মো. কুদ্দুস খান, জুবের আহমেদ খান, সুলতান-উল-আবেদীন মোল্লা এবং মো. মুরশিদ আলম উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্সের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ আজিজ আহমদ ও পরিচালনা পর্ষদের সদস্য এম হাফিজউল্লাহ, এমএ আজিম এবং ড. ওয়াহিউদ্দিন মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

শুনানিতে ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্সের পরিচালনা পর্ষদ মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে দীর্ঘসূত্রতা এবং অবহেলা প্রমাণিত হয়। যার ফলে কোম্পানির পলিসি এবং শেয়ার হোল্ডারদের স্বার্থ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একজন যোগ্য মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ গুরুত্বপূর্ণ বলে সিদ্ধান্ত হয়।

এসময় একচ্যুয়ারি চেয়ারম্যান শেফাক আহমেদ বলেন, “তৎকালীন বীমা অধিদপ্তর থেকে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা শর্তসাপেক্ষে অনুমোদন পেলেও শর্ত পরিপালন করেনি ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স। কর্তৃপক্ষ গত ২৯ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে সার্কুলার জারি করলেও কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগে বিধি মোতাবেক অবশিষ্ট মেয়াদ উল্লেখ করে আবেদন করা হয়নি। এমনকি বিধি মোতাবেক বীমা কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার নিয়োগ বা অপসারণের ঘটনা কোম্পানি অবহিত হওয়ার ১৫ দিন শেষ হওয়ার পূর্বে লিখিতভাবে আবেদন করার বাধ্যবাধকতা আছে। এক্ষেত্রে তাও মানা হয়নি। যা বীমা আইনের লঙ্ঘন।”

এ ধরণের আচরণ কোম্পানির শেয়ার এবং পলিসি হোল্ডারদের স্বার্থ সুরক্ষার জন্য উদ্বেগজনক বলে মনে করেন তিনি।

নিউজবাংলাদেশ.কম/জেএস/কেজেএইচ

নিউজবাংলাদেশ.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়