বৈশ্বিক কার্বন নির্গমন বৃদ্ধির হার স্থিতিশীল
গত ৪০ বছরের মধ্যে ২০১৪ সালে প্রথমবারের মতো বৈশ্বিক কার্বন নির্গমন বৃদ্ধির হার স্থিতিশীল ছিল। ফ্রান্সভিত্তিক আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থার (আইইএ) প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বড় ধরনের কোনো অর্থনৈতিক সংকট ছাড়াই কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গমন বৃদ্ধির হার গত ৪০ বছরের মধ্যে ২০১৪ সালে প্রথমবার স্থিতিশীল ছিল। ২০১৪ সালে বৈশ্বিক কার্বন নির্গমন ছিল ৩২ গিগাটন, যা এর আগের বছরের সমান। বিবিসি।
কার্বন নির্গমন বৃদ্ধির হার স্থিতিশীল থাকার বিষয়টি ‘উৎসাহব্যঞ্জক’ হলেও তা নিয়ে ‘খুশি হওয়ার সময় হয়নি’ বলে সতর্ক করে দিয়েছে আইইএ।
সংস্থাটির প্রধান অর্থনীতিবিদ ফাতিহ বিরল বলেন, এটি প্যারিসে আগামী ডিসেম্বরে বিশ্ব জলবায়ু চুক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। কারণ, এই প্রথমবার স্পষ্ট হয়েছে যে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাসের বিষয়টি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য বাধা নয়।
এদিকে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক মারিয়া ফন ডার হোয়েভেন বলেন, এই ইতিবাচক সংবাদকে অজুহাত হিসেবে দেখিয়ে কার্বন নির্গমন রোধে নতুন নতুন উদ্যোগ বন্ধ করার সুযোগ নেই।
নির্গমনের হার বৃদ্ধির গতি ধীর হওয়ার কারণ হিসেবে বিভিন্ন দেশে জ্বালানি বা তেল পোড়ানোর ধরন পরিবর্তনের ব্যাপারটিকে চিহ্নিত করেছেন বিশ্লেষকেরা। যেমন চীনসহ অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থার (ওইসিডি) সদস্যদেশগুলোর পরিবেশদূষণ রোধে অধিকতর কার্যকর এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বেড়েছে। এতে বৈশ্বিক কার্বন নির্গমন বৃদ্ধিতে প্রভাব পড়েছে।
আইইএ ৪০ বছর ধরে বিশ্বব্যাপী কার্বন নির্গমনের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছে। এর আগে মাত্র তিনবার বার্ষিক নির্গমন বৃদ্ধির হার কমেছিল অথবা স্থির হয়েছিল। তবে সেসব ক্ষেত্রে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব ছিল। ১৯৮০-এর দশকে মার্কিন মন্দা, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর ১৯৯২ সালে এবং ২০০৯ সালে বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক সংকটের সময় এসব পরিবর্তন চিহ্নিত করা হয়।
আইইএর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনটি আগামী জুন মাসে প্রকাশ করা হবে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এসজে
নিউজবাংলাদেশ.কম