News Bangladesh

ব্যবসা-বাণিজ্য ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৯:১৯, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪
আপডেট: ০৯:২৫, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪

আদানির প্ল্যান্ট থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ আমদানি কমেছে ৩৩ শতাংশ

আদানির প্ল্যান্ট থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ আমদানি কমেছে ৩৩ শতাংশ

ফাইল ছবি

ভারতের শীর্ষ ধনী গৌতম আদানির কোম্পানি আদানি পাওয়ার লিমিটেড থেকে গত নভেম্বর মাসে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ আমদানি প্রায় এক-তৃতীয়াংশ বা ৩৩ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) ভারতীয় সরকারি তথ্যের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, বকেয়া নিয়ে বিরোধের জেরে গত মাসে ঝাড়খণ্ডের গড্ডায় অবস্থিত এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ আকস্মিকভাবে কমিয়ে দেয় আদানি পাওয়ার।

এর আগে, গত ২০১৭ সালে বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে আদানি পাওয়ার ২৫ বছরের জন্য বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। বাংলাদেশ আদানির বিদ্যুৎ সরবরাহ মূল্য পুনর্বিবেচনা করতে বলছে। কারণ, আদানি যে দামে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ বিক্রয় করে তা দেশীয় অন্যান্য সরবরাহকারীর তুলনায় অনেক বেশি।

এতে ২০০ কোটি ডলার ব্যয়ে ভারতের ঝাড়খন্ডের বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করে আদানি। ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদিত সব বিদ্যুৎ বাংলাদেশে সরবরাহ করার চুক্তি রয়েছে। ফলে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি দামে এতদিন বিদ্যুৎ সরবরাহ করে আসছিল প্রতিষ্ঠানটি।

শেখ হাসিনার হারানোর আগের ১২ মাসে দেশের প্রায় ৯ শতাংশ বিদ্যুৎ সরবরাহ করে প্রতিষ্ঠানটি। তবে বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতিজনিত কারণে বিদ্যুতের দাম পুনঃআলোচনা করার অনুরোধ জানায় বাংলাদেশ।

এমন পরিস্থিতিতে ভারতের কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের আঞ্চলিক পাওয়ার কমিটির তথ্য থেকে দেখা গেছে, গত নভেম্বর মাসে গড্ডা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে ৪৫০ মিলিয়ন কিলোওয়াট ঘণ্টা বিদ্যুৎ রপ্তানি হয়েছে, যা বার্ষিক ভিত্তিতে ৩২ দশকিম ৮ শতাংশ কম। বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানির ক্ষেত্রে এটিই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় পতন আদানির।

ভারতের বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের পূর্বাঞ্চলীয় বিদ্যুৎ কমিটির তথ্যমতে, গোড্ডা প্ল্যান্ট গত নভেম্বরে বাংলাদেশে ৪৫০ মিলিয়ন কিলোওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ রপ্তানি করেছে। যা গত বছরের এই সময়ের তুলনায় ৩২ দশমিক ৮ শতাংশ কম। এটি ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের পর থেকে আদানির আমদানি করা বিদ্যুতের সর্বনিম্ন মাসিক পরিমাণ।

এদিকে, শীত মৌসুমে স্বাভাবিকভাবেই বিদ্যুতের চাহিদা কম থাকলেও বাংলাদেশে বিদ্যুতের চাহিদা বার্ষিক ৫ দশমিক ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আদানি থেকে কম বিদ্যুৎ আমদানির ফলে সৃষ্ট শূন্যতা পূরণে দেশটি জ্বালানি তেলনির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো চালু করেছে।

বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে জ্বালানি তেলের ব্যবহার গত নভেম্বরে ৪৭ দশমিক ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। টানা ২১ মাস পতনের পর এটি টানা তৃতীয় মাসে বেড়ে গেল।

এছাড়া, প্রাকৃতিক গ্যাস নির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদন নভেম্বর মাসে ১০ শতাংশেরও বেশি  বেড়ে গেছে। তবে কয়লা নির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদন টানা তৃতীয় মাসে কমেছে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এসবি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়