News Bangladesh

নিউজ ডেস্ক  || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ২১:১৮, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪

ভোজ্যতেলে শুল্ক ও ভ্যাট কমাল অন্তর্বর্তী সরকার

ভোজ্যতেলে শুল্ক ও ভ্যাট কমাল অন্তর্বর্তী সরকার

ফাইল ছবি

আসন্ন রমজানে দেশের বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে ভোজ্যতেল আমদানি, উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট কমিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

বাজারে মূল্য সহনীয় রাখার লক্ষ্যে সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) ভোজ্যতেলের ওপর শুল্ক ও ভ্যাট অব্যাহতি প্রদান করে এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

বিজ্ঞপ্তিতে এনবিআর জানায়, ১৫ ডিসেম্বর এ সংক্রান্ত আলাদা ৩টি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, পরিশোধিত ও অপরিশোধিত সানফ্লাওয়ার, ক্যানোলা, সয়াবিন ও পাম ওয়েল আমদানিতে বিদ্যমান সব আমদানি শুল্ক, রেগুলেটরি ডিউটি এবং অগ্রিম আয়কর আগামী ৩১ মার্চ, ২০২৫ পর্যন্ত সম্পূর্ণ অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া এসব প্রজ্ঞাপনে সানফ্লাওয়ার, ক্যানোলা, সয়াবিন ও পাম ওয়েল বিক্রয়ের ওপর স্থানীয় পর্যায়ে প্রদেয় মূল্য সংযোজন কর উল্লিখিত সময়কাল পর্যন্ত সম্পূর্ণ অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। 

তাছাড়া এসব পণ্যের আমদানি পর্যায়ে প্রদেয় মূসক ১৫ শতাংশ হতে হ্রাস করে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। ফলে এসব পণ্যের ওপর আমদানি পর্যায়ে ৫ শতাংশ মূসক ব্যতিত অন্য কোনো শুল্ক-করাদি অবশিষ্ট থাকবে না। 

এ লক্ষ্যে সর্বশেষ তিনটি এসআরও জারি করা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়েছে, এর আগে গত ১৭ অক্টোবর ও ১৯ নভেম্বর জারি করা শুল্ক-করাদি অব্যাহতির প্রজ্ঞাপন দুটি সয়াবিন ও পাম ওয়েলের ক্ষেত্রে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রযোজ্য ছিল। ভোজ্যতেলের বাজার স্থিতিশীল রাখা এবং ভোক্তাসাধারণের জন্য ভোজ্যতেলের মূল্য সহনীয় রাখার উদ্দেশে সয়াবিন ও পামতেলের পাশাপাশি এবার অপরিশোধিত ও পরিশোধিত সানফ্লাওয়ার তেল ও ক্যানোলা তেলের আমদানির ওপর বিদ্যমান শুল্ক-কর ও মুসক কমানো হলো। সয়াবিন ও পামতেলের সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক বাজারে ঊর্ধ্বমুখী দর বিবেচনায় নিয়ে রমজান মাসে পণ্যটির সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার উদ্দেশে নতুন প্রজ্ঞাপন তিনটির মেয়াদ আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বলবৎ রাখা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সানফ্লাওয়ার তেল ও ক্যানোলা তেলের কাস্টমস ডিউটি, রেগুলেটরি ডিউটি, আগাম কর ও অগ্রিম আয়কর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করায় এবং মূল্য সংযোজন কর কমানো কারণে এসব তেলের আমদানি ব্যয় লিটার প্রতি ৪০-৫০ টাকা কমবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নেওয়া এসব পদক্ষপে ভোজ্যতেলের সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে এবং এর ফলে বাজার মূল্য সর্বসাধারণের জন্য সহনীয় পর্যায়ে রাখা যাবে বলে আশা করছে এনবিআর।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়