আগের দামেই মুরগি, স্বস্তি নেই সবজির বাজারে
ছবি: সংগৃহীত
শীতের সবজিতে ভরে উঠেছে বাজার। তবুও স্বস্তি নেই ক্রেতাদের। সপ্তাহ ব্যবধানে সব ধরনের সবজি কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। সব ধরনের মুরগি আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। তবে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) রাজধানীর শেওড়াপাড়া ও তালতলা বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক সপ্তাহ আগের তুলনায় সব ধরনের সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এসব বাজারে গ্রীষ্মকালীন সবজি কচুরমুখীর কেজি ৮০ টাকা, বেগুন ৮০ থেকে ১০০ টাকা, করলা ৮০ থেকে ১০০ টাকা, পটল ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, লাউ প্রতিটি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পেঁপের কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ধুন্দল ৭০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ টাকা, কচুর লতি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, ঝিঙা ১০০ টাকা, শসা ৮০ থেকে ১০০ টাকা এবং কাঁচা মরিচ ১০০ থেকে ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
শীতকালীন সবজি শিমের কেজি ১২০ টাকা, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, গাজর ১২০ টাকা, ফুলকপি প্রতিটি ৩০ থেকে ৬০ টাকা, ছোট আকারের বাঁধাকপি ৫০ টাকা, মুলা ৭০ টাকা। লেবুর হালি ২০ থেকে ৪০ টাকা, ধনে পাতার কেজি ৫০ টাকা কমে ১৫০ টাকা, কাঁচা কলার হালি ৫০ টাকা, চাল কুমড়া প্রতিটি ৬০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
কলমি শাক ১৫ টাকা, লাল শাকের আঁটি ১৫ টাকা, লাউ শাক ৪০ টাকা, মুলা শাক ২০ টাকা, পুঁই শাক ৪০ টাকা এবং ডাঁটা শাক ৩০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। সব ধরনের পেঁয়াজ কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। দেশি পেঁয়াজ ২০ টাকা কমে ১৪০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ প্রকারভেদে ৯০ থেকে ১২০ টাকা, কাঁচা আদা ১২০ টাকা এবং পুরোনো আদা ২৮০ টাকা, রসুন ২৪০ টাকা, নতুন আলু ১৪০ টাকা, বগুড়ার আলু ১০০ টাকা ও পুরোনো আলু ৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
গত সপ্তাহের মতো ব্রয়লার মুরগি ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সোনালি কক ৩০০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ২৮০ টাকা, দেশি মুরগি ৫২০ টাকা, লেয়ার লাল মুরগি ২৯০ টাকা এবং সাদা লেয়ার ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন ২৩০ টাকা, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৯০ টাকা।
বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা, গরুর কলিজা ৮০০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা এবং খাসির মাংসের কেজি এক হাজার ১৫০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ এক হাজার টাকা, ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ দেড় হাজার টাকা, এক কেজি ওজনের ইলিশ এক হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চাষের শিংয়ের কেজি (আকারভেদে) ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, রুইয়ের দাম কেজিতে বেড়ে (আকারভেদে) ৩৮০ থেকে ৫০০ টাকা, দেশি মাগুর ৮০০ থেকে এক হাজার ১০০ টাকা, মৃগেল ৩২০ থেকে ৪০০ টাকা, পাঙাশ ২০০ থেকে ২২০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকায়, বোয়াল ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, পোয়া মাছের কেজি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কই ২২০ থেকে ২৩০ টাকা,কাচকি ৫০০ টাকা, পাঁচমিশালি ২২০ টাকা, রূপচাঁদা ১ হাজার ২০০ টাকা, মলা ৫৫০ টাকা, বাতাসি টেংরা এক হাজার ৩০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, বাইম ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা, দেশি কই এক হাজার ২০০ টাকা, শোল ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, আইড় ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, বেলে ৮০০ টাকা ও কাইক্ক্যা ৬০০ টাকা।
পাঁচ লিটার সয়াবিন তেল ৮১৮ টাকা, দেশি মসুর ডাল প্রতি কেজি ১৪০ টাকা, মুগ ডাল ১৮০ টাকা, মিনিকেট চাল ৭৬ থেকে ৮০ টাকা ও নাজিরশাইল ৭৫ থেকে ৮২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এসবি