যন্ত্রাংশ উৎপাদনে বিনিয়োগকারীদের এগিয়ে আসার আহ্বান শিল্পমন্ত্রীর
দেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে অটোমোবাইল শিল্পখাতের যন্ত্রাংশ উৎপাদনে শিল্প-কারখানা স্থাপন করার জন্য দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
তিনি বলেন, ‘দেশকে উন্নয়নের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাতে আমাদের সরকার শিল্পায়ন ও শিল্প বিকাশের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দেশে শিল্পায়নের জন্য আমরা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের শিল্প বিনিয়োগের সুবিধার্থে সকল প্রকার সহায়তা প্রদান করছি। দেশে উৎপাদিত পণ্যের উৎপাদন এবং রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমাদের সরকার শিল্পনীতি সহায়তাসহ সকল প্রকার সহযোগিতা করে আসছে।’
অটোমোবাইল খাতের সার্বিক উন্নয়নে শিল্প ও শিক্ষা খাতের সমন্বয় খুবই জরুরি এ কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, গবেষণা ও উদ্ভাবন অটোমোবাইল শিল্পের বিকাশের পাশাপাশি অন্যান্য সহায়ক শিল্পগুলোকেও বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন রোববার রাজধানীতে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘অটোমোবাইল শিল্পের উন্নয়ন: বর্তমান বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
ডিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট রেজওয়ান রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইফাদ গ্রুপের উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাসকিন আহমেদ। বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নওকি ওয়েবিনারে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
অন্যান্যের মধ্যে ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের অর্থনৈতিক ও ইন্দো-প্যাসিফিক বিষয়ক ইউনিটের প্রধান জন ডি. ডানহাম, প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তৌহিদুজ্জামান, উত্তরা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মতিউর রহমান, বারভিডার প্রেসিডেন্ট আব্দুল হক, সৈয়দ ইমতিয়াজ আহমেদ ও জাইকার প্রতিনিধি হায়াকাহ ইউকো ওয়েবিনারে বক্তব্য রাখেন। ডিসিসিআই’র সহ-সভাপতি এন কে এ মবিনসহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ ওয়েবিনারে যোগদান করেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারির ধাক্কা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে লাগলেও গত বছরে জিডিপি ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। এখন করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ চলছে, দেশে লকডাউনের মধ্যেও প্রধানমন্ত্রীর নির্দশনা মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিশেষ ব্যবস্থায় শিল্প কলকারখানা চালু রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজির লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানো এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশে পরিণত হতে সার্বক্ষণিক শিল্প কারখানা চালু রাখার কোনো বিকল্প নেই।
বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বাড়ার সাথে সাথে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধিও পেয়েছে। উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ক্রমবর্ধমান আয় জনগণের নিরাপদ যানবাহনসহ যানবাহনের চাহিদা বৃদ্ধির পাশাপাশি আধুনিক সুবিধা সম্বলিত যানবাহন ব্যবহারের প্রবণতা বাড়ছে। মানুষের এখন ব্যক্তিগত গাড়ি ক্রয় করার সামর্থও বেড়েছে।
তিনি বলেন, অটোমোবাইল নির্মাতাদের স্থানীয়ভাবে উৎপাদনের জন্য শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপনের আগ্রহও বেড়েছে। এসব কিছু বিবেচনায় রেখে ‘আমরা খুব তাড়াতাড়িই অটোমোবাইল শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা চূড়ান্তকরবো’।
জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের অটোমোবইল খাতের বিকাশকে ত্বরান্বিত করতে হালকা-প্রকৌশল শিল্পকে এগিয়ে আসতে হবে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এএস