News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৬:৩৫, ৩ জুন ২০২০
আপডেট: ০৪:২৬, ৬ জুন ২০২০

করোনায় সরচেয়ে ক্ষতি বাংলাদেশ-ভারতের পোশাক ও পাদুকা খাতের

করোনায় সরচেয়ে ক্ষতি বাংলাদেশ-ভারতের পোশাক ও পাদুকা খাতের

কভিড-১৯ এর প্রভাবে সবচেয়ে বেশি আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে পোশাক, পাদুকা ও নির্মাণ খাত। সঙ্কটে পড়েছে পোশাক ও পাদুকা খাতের বাংলাদেশ ও ভারতের প্রতিষ্ঠানগুলো।
বৈশ্বিক সরবরাহ চেইনের নৈতিক চর্চা উন্নয়ন সংক্রান্ত বৈশ্বিক বেসরকারি সংস্থা সেডেক্সের প্রতিবেদনে এ চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
গত ২৬ মে ‘সেডেক্স ইনসাইটস রিপোর্ট: কভিড- ১৯ ইম্প্যাক্টস অন বিজনেসেস’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি প্রকাশ পেয়েছে।
গত এপ্রিল মাসে ১১৮টি দেশে সদস্য প্রতিষ্ঠানের কাছে কভিড-১৯-এর প্রভাব সম্পর্কে জানতে চায় সেডেক্স। তাদের এই জরিপে অংশ নেয় ৩ হাজার ৩৪৬টি প্রতিষ্ঠান।
ব্যবসায় কভিড-১৯-এর প্রভাব কেমন এ প্রশ্নসহ সেডেক্সের জিজ্ঞাসার মধ্যে আরো ছিল, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কর্মশক্তির (কর্মীদের) স্বাস্থ্য ও আর্থিক প্রভাব পুষিয়ে নিতে সহায়তা দিয়েছে কিনা। এ প্রেক্ষাপটে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের বিভিন্ন পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে ক্রয় চর্চার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে কোনো সহায়তার প্রস্তাব করেছে কিনা। এছাড়া ক্রেতাদের কাছ থেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো কী ধরনের সহায়তা প্রত্যাশা করে, অন্যান্য প্রশ্নের পাশাপাশি সে ব্যাপারেও জানতে চাওয়া হয়।
এই জরিপ প্রতিবেদনে সেডেক্স বলেছে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর ৬৭ শতাংশ জানিয়েছে, কভিডের প্রভাবে আয় কমে যাবে। উত্তরদাতাদের ৩৪ শতাংশ বলেছে, আয় কমে যাবে উল্লেখযোগ্য হারে। ৯৯ শতাংশ উত্তরদাতা কর্মশক্তিকে কভিড- ১৯ মহামারী থেকে সুরক্ষায় স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানিয়েছে।
সেডেক্সের জরিপ প্রতিবেদন অনুযায়ী, মহামারির প্রভাবে আর্থিকভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পোশাক, পাদুকা ও নির্মাণ খাত।
এছাড়া জরিপে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের বক্তব্যে সরবরাহ চেইন বিঘ্নিত হওয়া এবং কাঁচামাল প্রাপ্যতা ব্যাহত হওয়ার মতো চ্যালেঞ্জের বিষয় ‍উঠে এসেছে।
প্রাপ্যতা কমেছে ৪৩ শতাংশ জানিয়ে উত্তরদাতাদের ২০ শতাংশ জানিয়েছেন, তাদের খদ্দেররা ক্রয়াদেশ বাতিল করেছেন।
উত্তরদাতাদের ৪ শতাংশ পণ্যের মূল্য বিলম্বে পরিশোধ হবে এমন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন।
প্রতিবেদনে সেডেক্স বলছে, পোশাক ও পাদুকা খাত দৃশ্যমান সঙ্কটের মধ্যে রয়েছে। এ খাতগুলোর শ্রমিকরা মারাত্মক দারিদ্র্য এবং স্বাস্থ্যগত প্রভাবের মুখোমুখী হয়েছেন। এখাতের শ্রমিকরা অনেক কম মজুরিতে কাজ করেন, ফলে তাদের আর্থিক নিরাপত্তাহীনতা রয়েছে।
জরিপে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৪৬৯টি পোশাক ও পাদুকা খাতের। এর মধ্যে চীনের ১০৭টি, ভারতের ৭৭, বাংলাদেশের ৪৬ এবং তুরস্কের ৩০টি।
সেডেক্স বলছে, ৬৮ শতাংশ সদস্য জানিয়েছে তাদের আয় উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। ভারতের ক্ষেত্রে ৮৮ শতাংশ এবং বাংলাদেশের ৭৭ শতাংশ সদস্য জানিয়েছেন, কভিড- ১৯-এর নেতিবাচকক প্রভাব তাদের ওপর পড়েছে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এফএ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়