মূল্যস্ফীতি কমেছে দশমিক ৬১ শতাংশ
গত মে মাসে সাধারণ খাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ। যা এপ্রিলে মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ। এক মাসে মূল্যস্ফীতি কমেছে দশমিক ৬১ শতাংশ।
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
এম এ মান্নান বলেন, করোনা মহামারির প্রভাবে সবকিছু থমথমে। তবে এর মধ্যে দেশে খাদ্য খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি। মে মাসে সাধারণ, খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতির হার স্বস্তি দিয়েছে। তিন খাতে মূল্যস্ফীতি কমেছে।
আরও বলেন, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) দেওয়া মে মাসের ভোক্তা মূল্য সূচকের (সিপিআই) সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্যে দেখা গেছে, এপ্রিল মাসের তুলনায় মে মাসে মাছ, শাক-সবজির দাম কমেছে। ফলের মূল্য কমেছে। কমেছে মসলা জাতীয় পণ্যের দাম।
বিবিএসের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, মে মাসে খাদ্যবহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতির হার কমে হয়েছে ৫ দশমিক ৯ শতাংশ। এপ্রিল মাসে এ খাতে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৫ দশমিক ৯১ শতাংশ। বছরওয়ারি পয়েন্ট টু পয়েন্টের ভিত্তিতে মে মাসে ডাল, চিনি, মুড়ি, মাছ-মাংস, ব্রয়লার মুরগি, ফল, তামাক ও দুধ জাতীয় পণ্য এবং অন্যান্য খাদ্য সামগ্রীর দাম কমেছে। মাসওয়ারি ডিম, শাক-সবজি ও মসলা জাতীয় পণ্যের দাম কমেছে।
এদিক খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে হয়েছে ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ। যা এপ্রিল মাসে ছিল ৬ দশমিক ০৪ শতাংশ। মূল্যস্ফীতির হার কমেছে বাড়ি ভাড়া, আসবাবপত্র, গৃহস্থালি পণ্য, চিকিৎসাসেবা, পরিবহন, শিক্ষা উপকরণ এবং বিবিধ সেবা খাতেও।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এমএজেড/এএস