এপ্রিলে ভ্যাট রিটার্নসহ আদায় বেড়েছে
লকডাউন পরিস্থিতিতে এপ্রিল মাসে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট/মূসক) রিটার্নের পরিমাণ বেড়েছে ৩৪ দশমিক ৮২ শতাংশ। আর রাজস্ব আহরন বেড়েছে ২২ শতাংশের বেশি। করোনাভাইরাস সৃষ্ট পার্দুভাবকালে এ ধরনের রাজস্ব আহরন ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সংশ্লিষ্টরা।
অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে এপ্রিলে সীমিত আকারে ভ্যাটের সব সার্কেল অফিস খোলা রাখা রেখেছিল এনবিআর। ১২ থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত চারদিন বিশেষ ব্যবস্থাপনায় অফিস খুলে প্রায় ৩১ হাজার রিটার্ন নেওয়া হয়েছিল। এছাড়া মে মাসে ভ্যাটের সার্কেল অফিস নিয়মিত খোলা রাখার পাশাপাশি ১৫ মে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় খোলা ছিল।
এনবিআর সূত্রে জানা যায়, ১৬ মে পর্যন্ত সারা দেশে ভ্যাট রিটার্ন (এপ্রিল মাস) দাখিল হয়েছে ৪২ হাজার ৬১০টি। যা গত মাস (মার্চ) থেকে প্রায় ১১ হাজার বেশি। শতকরা হিসাবে দাখিলপত্র বেড়েছে ৩৪ দশমিক ৮২ শতাংশ। এসময় রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩ হাজার ৮৭৯ কোটি টাকা। যা আগের মাসের চেয়ে ৭০০ কোটি টাকা বেশি। শতকরা হিসাবে রাজস্ব বেড়েছে ২২ শতাংশের বেশি।
এর মধ্যে ভ্যাট লক্ষ্যমাত্রার বড় একটি অংশ আসে বৃহৎ করদাতা ইউনিট (এলটিইউ) শাখা থেকে। এ ইউনিটে এপ্রিল মাসের রিটার্ন দাখিল করে ১৪৩টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে ৫২টি অনলাইনে ও ৭২টি ম্যানুয়াল। যার মাধ্যমে রাজস্ব আদায় হয় এক হাজার ৯৯৬ কোটি ৫ লাখ টাকা।
এপ্রিল মাসের ভ্যাট রিটার্ন দাখিলে ১৫ এপ্রিল (শুক্রবার) দেশের ২৫২টি ভ্যাট সার্কেল অফিস খোলা ছিল। নতুন ভ্যাট আইন অনুযায়ী, প্রতি মাসের ভ্যাট দাখিলপত্র পরবর্তী মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে জমা দিতে হয়। অন্যথায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে। আইনি বাধ্যবাধ্যতা থাকায় আর করদাতাদের সুবিধার্থে শুক্রবার ছুটির দিনেও সব ভ্যাট সার্কেল খোলা হয়।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এমএজেড/ডি