News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১০:২৫, ২৭ এপ্রিল ২০২০
আপডেট: ০৪:১৮, ৩০ এপ্রিল ২০২০

দ্বিতীয় দফায় চালু হচ্ছে ৫ শতাধিক পোশাক কারখানা

দ্বিতীয় দফায় চালু হচ্ছে ৫ শতাধিক পোশাক কারখানা

সরকার ঘোষিত সাধারন ছুটির মধ্যেই গত রোববার প্রথম দফায় রফতানিমুখী ৬ শতাধিক তৈরি পোশাক কারখানা চালু করেছেন তৈরি কারখানার মালিকরা। এরপর দ্বিতীয় দফায় সোমবার নতুন করে আরও ৫ শতাধিক কারখানা চালু করা হবে। 

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে ৫ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। বিভিন্ন তদবিরের মাধ্যমে কারখানাগুলো চালু করেছেন মালিকরা। অবশ্য তার জন্য গত শুক্রবার থেকেই কর্মচারী ও শ্রমিকদের ডেকে আনা হয়েছে গার্মেন্টস কারখানাগুলোতে। তবে ৫ মে পর্যন্ত গণপরিবহন বন্ধ থাকায় গত শনিবার অনেক শ্রমিক কর্মস্থলে ফিরেছেন বিকল্প উপায়ে।

বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমএইএ) তথ্য মতে, গত রোববার তাদের সদস্যভুক্ত ৫০২টি পোশাক কারখানা খুলেছে। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জের ১৮টি, সাভার-আশুলিয়ার ১২৯টি, ঢাকার ২৫টি, গাজীপুরের ২৩৮টি ও চট্টগ্রামের ৯২টি কারখানা খোলা হয়েছে। 

বাংলাদেশ নিটওয়্যার প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিকেএমইএ) মতে, গত রোববার তাদের প্রায় ১২টি কারখানা খোলা ছিল। এছাড়া বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) ও বাংলাদেশ গার্মেন্টস বায়িং হাউজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিবিএ) শতাধিক কারখানা চালু করা হয়েছে গত রোববার। তবে তার আগে থেকেই মাস্ক ও পিপিই উৎপাদনকারী প্রায় শতাধিক কারখানা চালু ছিল।

সম্প্রতি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক বলেন, পোশাকশিল্পের ৮৬৫টি কারখানা খুলে দেওয়ার দাবি আছে। এ পর্যন্ত তিন বিলিয়ন ডলারেরও বেশি ডলারের অর্ডার বাতিল হয়েছে। আমাদের ওপর কারখানা খুলে দেওয়ার চাপ আছে। অনেকের অর্ডার আছে। এলাকাভিত্তিক সিদ্ধান্ত নিয়ে দিনক্ষণ বেধে, সীমিত আকারে, স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে কারখানা খুলে দেওয়ার পদক্ষেপ নিতে তিনি সবার সহযোগিতা চান।

রুবানা হক বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোতে যদি অর্ডার চলে যায়, তাহলে তা ফেরত আনা কঠিন হবে। তাই সীমিত শ্রমিক নিয়ে সীমিত আকারে কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি।

এ কারণে বিজিএমইএ, বিকেএমইএ এবং বিটিএমইএ ২৬ এপ্রিল থেকে ৫ মে পর্যন্ত সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটিতে কারখানা বন্ধ রাখার কোনো নির্দেশনা দেয়নি। বরং শনিবার বিজিএমইএর সভাপতি ড. রুবানা হক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে গার্মেন্টস মালিকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে অঞ্চলভিত্তিক পোশাক কারখানা চালু করার সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

সদস্যদের উদ্দেশে কারখানা খোলা বা বন্ধ রাখার বিষয়ে গত শনিবার বিজিএমইএর ওয়েবসাইটে এক বার্তা দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, অর্থনীতির চাকা সচল রাখার জন্য সামগ্রিক বিবেচনায় বিজিএমইএ আপনাকে জোনভিত্তিক, সীমিত পরিসরে কারখানা খোলার পরামর্শ দেবে সরাসরি। এর আগে শ্রমিকদের ঢাকায় না আনার জন্যও সদস্যদের পরামর্শ দেওয়া হলো।

বার্তায় বিজিএমইএ সদস্যদের উদ্দেশে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, সেইসব কর্মীদের নিয়ে কারখানা চালু করুন, যারা কারখানার নিকটবর্তী স্থানে বসবাস করেন।

বিজিএমইএর বার্তায় আরও বলা হয়েছে, মানবিক কারণে শ্রমিকদের ছাঁটাই না করার জন্য সদস্যদের অনুরোধ করা যাচ্ছে। অনুপস্থিত শ্রমিককে এপ্রিল মাসের বেতন পৌঁছে দেওয়া হবে।

এদিক পোশাক কারখানা খোলায় সতর্কতা অবলম্বন বিষয়ে গত  রোববার প্রধানমন্ত্রীর মূখ্যসচিবের কাছে আবার চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ গার্মেন্টস বায়িং হাউজ অ্যাসোসিয়েশন (বিজিবিএ)।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এমজেড/এসএইচ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়