জি-৭
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি
ঢাকা: তৈরি পোশাক শিল্পের গুণগত পরিবর্তনে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি এবং আন্তরিকতার বিষয়ে প্রশংসা করেছেন জি-৭ স্টেকহোল্ডার কনফারেন্সের বক্তারা। তাদের মতে, “বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশ শিল্প কলকারখানায় শ্রমিকদের অধিকার, নিরাপদ ও কর্মবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে।”
জার্মানীর বার্লিনে অনুষ্ঠিত দুদিনের জি-৭ স্টেকহোল্ডার কনফারেন্সে তারা এসব কথা বলেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কনফারেন্সে শান্তিতে নবেল বিজয়ী কৈলাশ সত্যার্থী, জার্মানির ফেডারেল মিনিস্টার ফর লেবার অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার আন্দ্রে নাহলেজ এবং ফেডারেল মিনিস্টার ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ড. গার্ড মুলার বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত আন্তর্জাতিকভাবে সামাজিক ও পরিবেশগত গ্রহণযোগ্য মান বজায় রেখে সফলতার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে। বিগত দুবছরে বাংলাদেশের শ্রমআইন সংশোধন, প্রশাসনিক সংস্কারের মাধ্যমে এখাতে আমূল পরিবর্তন সাধন করা হয়েছে। ২০১৩ সালের অপ্রত্যাশিত রানা প্লাজা দুর্ঘটনা বাংলাদেশের শিল্প মালিক ও শ্রমিকদের জন্য একটি টার্নিং পয়েন্ট।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে তৈরি পোশাক শিল্পে প্রায় ৪০ লাখ নারী-পুরুষ কাজ করছে। তাদের উপযুক্ত মজুরি, অগ্নি নিরাপত্তা, ভবন নিরাপত্তা, কর্মবান্ধব ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ সরকার।
তোফায়েল আহমেদ আরও বলেন, জি-৭ ভুক্ত দেশের বিশ্বমানের ব্রান্ড ও পোশাক আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্থায়ী সরবরাহ ব্যবস্থায় উৎপাদনকারীদের পোশাকের মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে ন্যায় ও উপযুক্ততা বিবেচনা করা প্রয়োজন।
কনফারেন্সের পরামর্শক সভায় মন্ত্রী বিশ্বব্যাপী স্থায়ী সরবরাহ ব্যবস্থা উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বস্ত্র ও তৈরি পোশাক শিল্পে দুই যুগের বেশি সময় ধরে আন্তর্জাতিক বিধিবিধান ও নিয়মনীতি অনুসরণে ধারাবাহিকতা তুলে ধরেন। এক্ষেত্রে তিনি বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থান এবং সীমাবদ্ধতাকে বিবেচনায় নিতে জি-৭ স্টেক হোল্ডারদের অনুরোধ জানান।
নিউজবাংলাদেশ.কম/জেএস/কেজেএইচ
নিউজবাংলাদেশ.কম