আগের চেয়ে বেশি গৃহকর্মী নেবে সৌদি
নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগে প্রতিবছর যে পরিমান শ্রমিক সৌদি আরব যাওয়ার সুযোগ পেত এখন তার চেয়েও বেশি সংখ্যক সুযোগ পাবে বলে জানিয়েছে দেশটি।
সোমবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে এই আগ্রহের কথা জানান দেশটির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপমন্ত্রী আহমেদ আল ফাহাদ।
পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এ কে এম শামীম চৌধুরী এ বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করেন।
তিনি বলেন, “সৌদি আরবের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপমন্ত্রী বলেছেন, তারা এত অল্প সংখ্যক শ্রমিক নয়, আরও বেশি সংখ্যক শ্রমিক বাংলাদেশ থেকে নিতে চান।”
বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়ার ওপর গত সাত বছর ধরে চলে আসা নিষেধাজ্ঞা সম্প্রতি তুলে নেয় সৌদি আরব।
২০০৮ সালে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগে বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর গড়ে প্রায় দেড় লাখ শ্রমিক যেতে পারত সৌদি আরব।
সরকারি হিসাবে বর্তমানে ১২ লাখ ৮০ হাজার বাংলাদেশি সৌদি আরবে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত। এই হিসাবে সৌদি আরবই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার।
বাংলাদেশের শ্রমিকদের প্রশংসা করে আহমেদ আল ফাহাদ বলেন, বাংলাদেশের শ্রমিকরা পরিশ্রমী, বিশ্বাসী এবং তারা তাদের দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে।
বাংলাদেশ থেকে যেসব শ্রমিক সৌদি আরব যাবে, তারা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের খরচেই যাবে বলেও প্রধানমন্ত্রীকে জানান তিনি।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, সৌদি আরবের ভাষা, আইন এবং রীতিনীতি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দিয়ে বাংলাদেশ শ্রমিক পাঠাবে। বাংলাদেশের সঙ্গে সৌদি আরবের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সাক্ষাৎকালে বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন এবং প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা গওহর রিজভীও উপস্থিত ছিলেন।
নিউজবাংলাদেশ.কম