News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৪:২১, ৮ মার্চ ২০১৫
আপডেট: ১৩:২৫, ১২ এপ্রিল ২০২০

অনিশ্চয়তার খাচাঁয় বন্দী মিরসরাই বিসিক প্রকল্প

অনিশ্চয়তার খাচাঁয় বন্দী মিরসরাই বিসিক প্রকল্প

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) শিল্প নগরী শেষ পর্যন্ত হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শিল্প মন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া ২০১০-১১ অর্থ বছরে শিল্প নগরীর কাজ শুরু করেন। কিন্তু; এক বছরের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও গত ৪ বছরে প্রকল্পের ২০ শতাংশ কাজ  এখনো শেষ হয়নি।  

ইতোমধ্যে প্রকল্প কাজে বরাদ্দের অর্ধেকের বেশি অর্থাৎ প্রায় ১৪ কোটি টাকা ব্যয় হয়ে গেছে বলে জানা গেছে। কবে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে জানেন না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

পঞ্চম বিসিক শিল্পনগরী প্রকল্পটির জন্য ব্যয় ধরা হয় ২৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। প্রকল্পের জন্য ২০১০-১১ অর্থ বছরে মিরসরাই পৌর সভার স্টেশন রোড এলাকায় মঘাদিয়া মৌজায় ১৫ দশমিক ৩২ একর জমি অধিগ্রহণও করা হয়। জমি অধিগ্রহণে সময় লাগে প্রায় দুই বছর। এরপর ২০১২ সালের শুরুর দিকে প্রকল্পের জমিতে শুরু করা হয় মাটি ভরাট কাজ।

২০১৩ সালের ২৮ জুনের মধ্যে প্রকল্পের পুর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু; প্রকল্পের শুরুতেই অর্থ সংকটে থেমে যায় প্রকল্পের কাজ।

সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রকল্পের জমিতে অল্প কিছু মাটি ভরাট ছাড়া পুরো প্রকল্পে আর কোনো কাজের প্রমাণ মেলে না। প্রকল্পের জন্য নির্মাণ করা হয়নি কোন সড়ক। গড়ে তোলা হয়নি কোন অবকাঠামো। প্রকল্পের চারদিকে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ না থাকায় প্রকল্পের কিছু অংশে সরকারি অর্থে ভরাট করা মাটি বৃষ্টির পানিতে ধুয়ে-মুছে চলে গেছে পাশের ধানি জমিতে।

এমন অবস্থায় প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল গেল বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত। সেই মেয়াদও শেষ হয়েছে কিন্তু প্রকল্পের কোন অগ্রগতি নেই।

প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হলে সেখানে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প স্থাপনের জন্য ৮৮টি প্লট নির্মাণ হওয়ার কথা। পাশাপাশি কর্মসংস্থান হবে ৫ হাজার লোকের।

বিসিক চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত মোট বরাদ্দ থেকে ১৩ কোটি ৮১ লাখ ৫৮ হাজার টাকা প্রকল্পে ব্যয় করা হয়েছে। বাকি রয়েছে ১১ কোটি ১৩ লাখ ৪২ হাজার টাকা।

 
মিরসরাই বিসিকের প্রকল্প কর্মকর্তা কৃষ্ণ কুমার আচার্য জানান, ‍প্রকল্প এলাকায় ৫০ শতাংশ মাটি ভরাটের কাজ ছাড়া আর কোন কাজ করা হয়নি। এরর মধ্যে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ায় আবার মেয়াদ বাড়াতে এবং প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ বাড়াতে মন্ত্রণালয়ে লেখা হয়েছে। কবে নাগাদ প্রকল্পের কাজ শেষ হতে পারে তা তিনি নির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি।


নিউজবাংলাদেশ.কম/এএইচকে

নিউজবাংলাদেশ.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়