News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৩:২১, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
আপডেট: ২২:৩৭, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০

প্রতিমাসে ফুটপাতে চাঁদাবাজি ৩শ কোটি টাকা

প্রতিমাসে ফুটপাতে চাঁদাবাজি ৩শ কোটি টাকা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, নিউজবাংলাদেশ.কম

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের আওতাধীন ফুটপাতগুলোতে হকাররা প্রতিমাসে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ক্যাডারদেরকে কমপক্ষে ৩শ কোটি টাকা চাঁদা দেয়।

অভিজ্ঞজনরা মনে করছেন সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে এসব হকারকে আইডি কার্ড, রেজিস্ট্রেশন অথবা লাইসেন্সের ব্যবস্থা করা হয়, তবে এ টাকাগুলো রাজস্ব হিসেবে করপোরেশনের তহবিলে যোগ হতে পারে।

রবিবার বেলা ১২টায় ‘নিরাপদ ও সচ্ছন্দে হেঁটে যাতায়াত : আমাদের করণীয়’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় উপস্থাপিত মূল প্রবন্ধে এ মন্তব্য করেন ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ- ট্রাস্টের (ডাব্লিউবিবি) ন্যাশনাল অ্যাডভোকেসি অফিসার মারুফ রহমান।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি), পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) ও ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের যৌথ উদ্যোগে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় পথচারীদের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করার জন্য ফুটপাত দখলমুক্ত ও পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলার জন্য সিটি করপোরেশনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

বিভিন্ন উন্নত দেশের উদাহরণ দিয়ে বক্তারা বলেন, সিটি করপোরেশনের আওতাধীন বিভিন্ন রাস্তায় নির্মিত জেব্রা ক্রসিংগুলোর রং দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে উঠে যায়। এর উন্নয়নে একটি বরাদ্দ রাখতে হবে।   

সভাপতির বক্তব্যে ডিএসসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আনছার আলী খান বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি ফুটপাতগুলো দখল মুক্ত করতে।’

তিনি সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন সেবা খাতে বিরাজমান সমস্যাগুলো স্বীকার করে বলেন, ‘রাস্তা দখল করে অন্যকাজে ব্যবহার হচ্ছে। ম্যানহোলে ঢাকনা নেই। ডাস্টবিন দিলে চুরি হয়ে যায়।  আমাদের সীমাবদ্ধতা আছে। এজন্য আমরা নগরবাসীর সহযোগিতা চাই।’

তিনি বলেন, ‘কিছু টয়লেট নির্মাণের জন্য ওয়াটার এইডের সঙ্গে আমাদের একটা এগ্রিমেন্ট হয়েছে। কিন্তু আমরা তা নির্মাণ করার জন্য জমি পাচ্ছি না।’

একটি গবেষণার সূত্র ধরে মারুফ রহমান বলেন, ‘আমরা একটি গবেষণায় দেখেছি, ঢাকা শহরের ফুটপাতগুলোতে অবস্থানরত হকাররা প্রতিমাসে কমপক্ষে তিনশত কোটি টাকা চাঁদা দেয়। যদি সিটি করপোরেশন এদের জন্য একটি আইডি কার্ড অথবা রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা করে তাহলে এই টাকাগুলো রাজস্ব হিসেবে আয় করতে পারে।’

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন-- ডিএসসিসির প্রধান প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মাহবুবুর রহমান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন রকিব উদ্দিন, পরিবহন শাখার মহাব্যবস্থাপক খন্দকার মিল্লাতুল ইসলাম প্রমুখ।

কেজেএইচ/একে/

নিউজবাংলাদেশ.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়