News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১১:৫৪, ২ মার্চ ২০১৫
আপডেট: ১৯:১৩, ১৭ জানুয়ারি ২০২০

পরিস্থিতি টোটালি আনএক্সপেকটেড

পরিস্থিতি টোটালি আনএক্সপেকটেড

ঢাকা: চলমান সহিংস রাজনৈতিক পরিস্থিতি টোটালি আনএক্সপেকটেড বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

সোমবার নিজ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে এখন যে সমস্যা চলছে তা টোটালি আন-এক্সপেকটেড। এটার কোন প্রয়োজন ছিল না। এর জন্য আমরা বিপদে আছি। দীর্ঘদিন ধরে সেই বিপদ চলছে। গত দুই মাসে এর ক্ষতি তেমন হয়নি, তবে সামনের দিনগুলোতে এর প্রভাব পড়বে। এ অবস্থায় বিভিন্ন দেশ থেকে যেসব ক্রেতারা আসছে, তাদেরকেও একটু সাবধান করে করে দেয়া হয়েছে। এসব বিষয়ে আমরা দেখছি কি করা যায়।’

ব্যবসায়ীদের প্রস্তাবের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা যেসব প্রস্তাব করেছেন তার বিষয়ে এখন কিছু বলতে পারব না। আশাকরি আপনারা বুঝতে পারছেন এ অবস্থা কেন হয়েছে। গত দুইমাস যাবৎ এটি চলছে। এটি অস্বাভাবিক অবস্থা। তবে এ অবস্থায় মানুষের জীবন প্রবাহ ঠিকই আছে। কিন্তু যে অবস্থা চলছে এর কারণে ভবিষ্যতে সমস্যায় পড়তে হবে। এ ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সময় লেগে যাবে।’

আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘আমি একটু চিন্তিত, এ অবস্থা কতদিন চলবে এর শেষ রাস্তাটা আমাদের দেখতে হবে। কয়েকদিন যাবৎ বলছি, এটা বিএনপির ডিউটি। বিএনপির যারা এটি করছে, তাদের এটি প্রত্যাহারের ডিউটি। আরো একটি সমস্যা রয়েছে, এখনতো তারা (বিএনপি) সংসদেও নাই। যদি সংসদে থাকতো তাহলে হয়তো কিছু একটা আলোচনার সম্ভাবনা থাকতো।’

চলমান সমস্যাকে জাতীয় সমস্যা হিসেবে আখ্যায়িত করলেও পরে তা থেকে সরে আসেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘যে সমস্যা চলছে, এটি একটি জাতীয় সমস্যা, তবে জাতীয় সমস্যা বলতে আমার আপত্তি আছে। কারণ জাতীয় সমস্যা বলতে অনেক বড় সমস্যাকে বোঝায়। এর জন্য আমি সময়টাকে সমস্যা মনে করছি। কারণ দুই মাস হয়ে গেছে, সেজন্য সময়টা অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। এভাবে যত দিন যাচ্ছে তত সমস্যাটা বাড়ছে। সে জন্য এটা সত্য যে, আপনারা (ব্যবসায়িরা) এর জন্য অনেক ভোগান্তিতে পড়বেন।’

এফবিসিসিআই সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিনের নেতৃত্বে বিজিএমইএ সভাপতিসহ এসময় ১০ জন ব্যবসায়ী নেতা উপস্থিত ছিলেন। ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বৈঠকে অর্থমন্ত্রীর নিকট আর্থিক ও ব্যাংকিং, বন্দর, বীমা, স্বল্প মেয়াদী রপ্তানি খাতের জন্য বিশেষ নীতি সহায়তা, বিশেষ নগদ সহায়তা, ইউরো জোনের রপ্তানিকারকদের নগদ সহায়তা এবং জ্বালানি সংক্রান্ত বিশেষ সহায়তার জন্য লিখিত প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/ জেএস/ এমএম

নিউজবাংলাদেশ.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়