থাইল্যান্ডের সঙ্গে বাণিজ্যে ডিউটি ফ্রি সুবিধা প্রয়োজন
ঢাকা: বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, “আমদানি বেশি হওয়ার কারণে থাইল্যান্ডের সঙ্গে বাংলাদেশের ঘাটতি বাণিজ্য বেড়েই চলছে। এ ঘাটতি কমাতে দ্রুত বাংলাদেশকে থাইল্যান্ডের ডিউটি ফ্রি সুবিধা দেওয়া প্রয়োজন।”
বুধবার ঢাকায় ‘থাইল্যান্ড উইক-২০১৫’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী একথা বলেন।
ঢাকাস্থ রয়েল থাই দূতাবাস এবং থাইল্যান্ডের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডিপার্টমেন্ট অফ ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড প্রমোশন এ মেলার আয়োজন করে। ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় চার দিনের এ মেলা চলছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, “থাইল্যান্ড বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র। থাইল্যান্ডের তৈরি পণ্য বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয়। ২০১২-২০১৩ অর্থ বছরে বাংলাদেশ থাইল্যান্ডে রপ্তানি করেছে ৯৪.৩৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে তা কমে এসেছে ৩৯.৬২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে। একই সময়ে থাইল্যান্ড থেকে আমদানি হয়েছে ৬৮৯.৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৪১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে।”
মন্ত্রী বলেন, “থাইল্যান্ডের সঙ্গে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তি রয়েছে। উভয় দেশ ডব্লিউটিও’র সদস্য। থাইল্যান্ডের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, পাটজাত পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, হিমায়িত খাদ্য, ঔষধ, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, নিটওয়্যার এবং বিশেষ টেক্সটাইল সামগ্রী ডিউটি ফ্রি প্রবেশের সুযোগ দুই দেশের বাণিজ্য ব্যবধান অনেক কমে আসবে।
মেলার আয়োজকরা জানিয়েছে, আগামী ২৮ মার্চ পর্যন্ত মেলা চলবে। ২৫-২৬ মার্চ ব্যবসায়িদের জন্য এবং ২৭-২৮ মার্চ মেলা সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। মেলায় ৫১ টি থাইল্যান্ডের প্রতিষ্ঠান অংশ গ্রহণ করেছে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে ২০২১ সালে বাংলাদেশ বাংলাদেশ একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। সে লক্ষ্যকে সামনে রেখে বর্তমান সরকার আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এখন আর তলাবিহীণ ঝুড়ি বা দুর্যোগ কবলিত দেশ নয়। বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন অনেক শক্তিশালী। জিডিপি গ্রোথ, রপ্তানি, বৈদেশিক মূদ্রার রিজার্ভ, কারেন্ট এ্যাকাউন্ট অফ ব্যালেন্স, মাথাপিছু আয়, কর্মসংস্থানসহ সকল ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ এখন পাকিস্তান থেকে এগিয়ে। সোস্যাল সেক্টরে বাংলাদেশ ভারতের চেয়েও এগিয়ে আছে।
অনুষ্ঠানে থাইল্যান্ডের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডিপার্টমেন্ট অফ ইন্টারন্যাশনালট্রেড প্রোমশনের ডিরেকটর জেনারেল নানটাওয়ান সাকুনটানাগা এবং ঢাকায় নিযুক্ত রয়েল থাই এ্যাম্বাসেডর মাডুরাপোচানা ইটারোং উপস্থিত ছিলেন।
নিউজবাংলাদেশ.কম/জেএস/কেজেএইচ
নিউজবাংলাদেশ.কম