নিজ পুত্রের সামর্থ্যে আস্থাশীল নন বাফেট
বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ ধনী ও বার্কশায়ার হ্যাথওয়ের প্রধান নির্বাহী ওয়ারেন বাফেট নিজের পুত্রের সামর্থ্যের ওপর খুব একটা আস্থাশীল নন। কোম্পানির ব্যবস্থাপকদের উদ্দেশে লেখা এক বার্ষিক চিঠিতে বাফেট বিভিন্ন বিষয়ে নিজের অবস্থান, পরামর্শ ও প্রত্যাশার কথা তুলে ধরেন।
প্রসঙ্গত, তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ বর্তমানে ৭ হাজার ২৭০ কোটি ডলার। ফোর্বস।
পুত্র হাওয়ার্ড বাফেটের সম্পর্কে তিনি চিঠিতে বলেন, ‘প্রধান নির্বাহী হিসেবে তাঁর কাজ প্রত্যাশিত মানের হবে, এটা আমার মনে হয় না।’ হাওয়ার্ড বাফেট বর্তমানে বার্কশায়ার হ্যাথওয়ের নির্বাহী চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ৫০ বছর ধরে বার্কশায়ার হ্যাথওয়ের প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্বে থাকা ৮৪ বছর বয়স্ক বাফেট কোম্পানির ভবিষ্যৎ প্রধান নির্বাহীর বেতন কত হবে, সে বিষয়ে তিনি বিস্তারিত ব্যাখ্যা তুলে ধরেন। নতুন নির্বাহীর বার্ষিক বেতন এক লাখ ডলার (৮০ লাখ টাকা) নির্ধারণের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন কোম্পানিটির প্রতিষ্ঠাতা ওয়ারেন বাফেট।
বাফেট লিখেছেন, ‘আমার পরে যিনি প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব পালন করবেন, তাঁর বেতন হবে বছরে এক লাখ ডলার। প্রধান নির্বাহী হিসেবে এ অর্থ যথেষ্ট, তাই এটা নিয়ে অসন্তোষের কোনো সুযোগ আছে বলে আমি মনে করি না।’
তিনি নিজেও ২৫ বছর ধরে এক লাখ ডলার বার্ষিক বেতন পেয়ে আসছেন বলে উল্লেখ করেন চিঠিতে।
পরবর্তী নেতৃত্বের কাছে নিজের প্রত্যাশার কথা তুলে ধরে ওয়ারেন বাফেট প্রতিষ্ঠানের বিকেন্দ্রীকরণের ওপর জোর দিতে বলেছেন। শেয়ার কারসাজির মাধ্যমে কোম্পানির পরিচালকেরা যেন কোনো বাড়তি অর্থ হাতিয়ে না নেন সেদিকে সজাগ থাকার পরামর্শ দেন বাফেট।
প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের ওপর প্রধান নির্বাহীর ভূমিকার বিষয়ে ওয়ারেন বাফেট লিখেছেন, একজন প্রধান নির্বাহীর আচরণ কর্মীদের কাজে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। প্রধান নির্বাহী যদি তাঁর কাজকর্মে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেন, তাহলে এ মনোভাব সব কর্মীর মাঝে ছড়িয়ে পড়ে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এসজে
নিউজবাংলাদেশ.কম