ফ্ল্যাট হস্তান্তরে সময়সীমা এক বছর বৃদ্ধি
টানা অবরোধ-হরতালের সুযোগে নির্মিতব্য প্রকল্প শেষ করতে এবং ফ্ল্যাট হস্তান্তরের সময়সীমা এক বছর বৃদ্ধি করে নিয়েছেন আবাসন ব্যবসায়ীরা। ফলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফ্ল্যাট ও প্লট বুঝিয়ে দিতে ব্যর্থ হলে ক্রেতা বা জমির মালিক কোন ক্ষতিপূরণ পাবে না।
রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) গত ৭ মার্চ এ বিষয়টি অনুমোদন দিয়েছে। কেবল নিজেদের সংগঠনের সদস্যদের জন্য সময়সীমা বৃদ্ধি করে রিহ্যাব বলছে, চলমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে এটি করতে বাধ্য হয়েছে তারা।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালেও জানুয়ারিতে একইভাবে রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণ দেখিয়ে এক বছর সময় বৃদ্ধি করা হয়েছিল। এ সময়সীমা শেষ হতে হতেই নতুন করে আবারও সময় বাড়ানো হলো।
জানা যায়, রিহ্যাবের নির্ধারিত ব্যবসার বিধিবিধানের ৮ নম্বর ধারা মোতাবেক এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। এতে বলা আছে, চুক্তি অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রকল্প শেষ না হলে ফ্ল্যাট ও প্লট বুঝিয়ে দেওয়ার আগ পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী জমির মালিক ও ক্রেতাকে ক্ষতিপূরণ দেবেন। যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ক্রেতারা সমস্ত কিস্তি পরিশোধ করে থাকেন। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রাজনৈতিক অস্থিরতা, নির্মাণসমাগ্রীর অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি, গ্যাস-বিদ্যুতের সংযোগ পেতে বিলম্ব হলে এ ক্ষতিপূরণ প্রযোজ্য হবে না।
রিহ্যাব সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে আবাসন ব্যবসায়ীরা আট মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত পিছিয়ে গেছেন। ফলে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া ছাড়া কোনো উপায় ছিল না।
তিনি বলেন, ভবন নির্মাণের জন্য মাটির নিচের পাইলিংয়ের কাজ সাধারণত শুষ্ক মৌসুমে করতে হয়। সেটি করা যায়নি। এ ছাড়া অবরোধ-হরতালে অন্য অবকাঠামো নির্মাণ খুবই ধীরগতিতে হচ্ছে। ক্রেতারাও কিস্তি পরিশোধ করছেন না।
ক্রেতাদের ভোগান্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্মাণকাজ যত দেরি হবে, খরচ তত বাড়বে। তাই কোনো ব্যবসায়ী জেনেশুনে লোকসান গুনতে চাইবেন না। তার পরও কোনো ব্যবসায়ী সুযোগের অপব্যবহার করলে এবং ক্রেতা লিখিত অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ জন্য একটি কমিটি কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এসজে
নিউজবাংলাদেশ.কম